বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি॥
কলকাতায় চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী মাইনুল আলম সোহাগ’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সকালে সাড়ে ১১ টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে সোহাগ’র মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
এ সময় এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের মাতম দেখা যায়। লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, ভাই-বোনেরা। বাদ যোহর পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে লাশ বাংলাদেশে আনা হয়। তার চাচাতো ভাই জিহাদ লাশ গ্রহণ করেন। চোঁখের সমস্যা নিয়ে বুধবার কলকাতার এ্যাপোলো হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান। রোববার তার দেশে ফেরার কথা ছিল। সোহাগ গ্রামীন ফোনের ঢাকার মতিঝিল এলাকার এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মধ্যরাতে বৃষ্টির কারণে কলকাতার সেক্সপিয়র সরণির একটি পুলিশ বক্সে দাঁড়িয়ে ছিলেন সোহাগ, তার চাচাতো ভাই জিহাদ ও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চাদোট গ্রামের মুন্সী আমিনুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা ইসলাম তানিয়া। এসময় শেক্সপিয়র সরণি ধরে বিড়ালা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় প্রচন্ড গতির একটি জাগুয়ার সজোরে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজকে। এরপর জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোহাগ ও তানিয়াকে চাপা দেয়। সেখান থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মইনুল ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের এ্যাড খলিলুর রহমানের ছেলে।