মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

উলিপুরে কষ্টের ধানেও চিটা, স্বপ্নভঙ্গ কৃষকদের

মো: জাহিদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:: ‎কুড়িগ্রামের উলিপুরে সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি নেমে যাওয়ার পর আমনের ক্ষেতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা এবং বন্যার পলির আস্তরণে চাপা পড়ে ধান পঁচে চিটা হওয়ায় চরাঞ্চলের শতাধিক কৃষক মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যেখানে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৫ মণ ধান হওয়ার কথা, সেখানে মাত্র ৫ থেকে ৬ মণ ধান মিলছে। এতে ধান রোপণ, কাটা ও মাড়াইয়ের খরচও উঠছে না।

‎উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য মতে, সম্প্রতি বন্যায় মোট ফসলি জমি ৫০ হেক্টর, মাসকলাই ১৫ হেক্টর, বীজ বাদাম ৫ হেক্টর ও শাকসবজি ২ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

‎সরেজমিনে তিস্তা নদী বেষ্টিত থেতরাই, গুনাইগাছ, দলদলিয়া ও বজরা ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ারের চর, জুয়ান সতরার চরসহ বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা গেছে, পলির নিচে থাকা আমন ধান কেটে মাড়াইয়ের কাজ করছেন কৃষকরা। বেশিরভাগ ধান পঁচে চিটা হয়েছে। গোড়াই পিয়ার চরের কৃষক বিশা মিয়া জানান, ৫০ শতক জমিতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করে আমন লাগিয়েছিলেন। বন্যার পানি এবং পলির কারণে সেখানে মাত্র ৭ মণ ধান পেয়েছেন। তিনি ধার দেনা পরিশোধ ও সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

‎ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ছামাদ মিয়া, বাবলু, মতিয়ার রহমানসহ আরও অনেকে জানান, বন্যার পলির কারণে আমন ধান নষ্ট হওয়ায় চরাঞ্চলের অনেক কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। শ্রমিক সংকটের কারণে এবং ধুলাযুক্ত ধান মাড়াই করার সময় সর্দি-কাশির ভয়ে শ্রমিকরা এই কাজ করতেও অনীহা দেখাচ্ছে।

‎এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোশারফ হোসেন জানান, বন্যার ফলে চরাঞ্চলের নিচু এলাকার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উঁচু এলাকায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকার এবং ভবিষ্যতে পলি পড়া জমিতে দ্বিগুণ ফলন হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com