শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাট প্রতিনিধি:: এবারও নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার। ২০০৮ সালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহারের স্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৬৭০ টাকা। এখন তার নামে সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৩ টাকার। ১৫ বছরে তার স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৩০ টাকা বা ৮.৩১ গুণ। এই সময়ে তার অস্থাবর সম্পদও বেড়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৪৭ টাকা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
হাবিবুন নাহার ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তার স্বামী তালুকদার আবদুল খালেক ১৯৯১ সাল থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। তিনি খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এই আসন থেকে নির্বাচন করেন তার স্ত্রী।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে হাবিবুর নাহারের স্বামী জয় লাভ করেন। তবে আবারও সিটি নির্বাচনের জন্য পদ ছাড়লে ২০১৮ সালে উপনির্বাচনে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী হন। ওই বছরের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০১৯ সালে নতুন মন্ত্রীসভায় তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
রাজনীতিতে আসার আগে হাবিবুন নাহারের পেশা হিসেবে (পাথর, ইট, বালু ও খোঁয়ার) ব্যবসা উল্লেখ করেছিলেন। এখনও পেশা হিসেবে ব্যবসা (বাড়ী ভাড়া, সঞ্চয় পত্র ও ব্যাংক সুদ) উল্লেখ করেছেন তিনি।
হাবিবুন নাহার এবারের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২ কোটি ৯৯ লাখ ২১ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। এই অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে নগদ ও ব্যাংকে রাখা অর্থ, সঞ্চয় পত্র এবং ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ড ক্রোজার গাড়ি। তিনি ২০০৮ সালে অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ৫০ লাখ ৭ হাজার ৭৯৬ টাকার। বর্তমানে তার ৬১ লাখ ৯ হাজার ৬০৪ টাকার ঋণ আছে বলেও উল্লেখ করেছেন।
এবারের হলফনামায় স্থাবর সম্পদ হিসেবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া জমিসহ ৫ তলা বাড়ির মূল্য একই (৩১ লাখ ৫ হাজার ৬৭০ টাকা) উল্লেখ করা হয়েছে। স্বর্ণালঙ্কারের ক্ষেত্রে মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। আর নতুন করে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা মূল্যের জমিসহ ৬ তলা বাড়ির অংশিক মালিক হয়েছেন।
২০০৮ সালের হলফনামায় হাবিবুন নাহারের বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ টাকা। এবারের হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তার বার্ষিক আয় ২৮ লাখ ১৫ লাখ ৭০১ টাকা। যার মধ্যে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৯৬৪ টাকা আসে উপমন্ত্রী হিসেবে পরিতোষিক ও ভাতাদি থেকে। আর সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে পান ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৮ টাকা। বাকি প্রায় ৭৪ হাজার টাকা পান বাড়ি ভাড়া থেকে। অবশ্য ১৫ বছর আগের হলফনামায় বাড়ি ভাড়া থেকে তার আয় উল্লেখ করা হয়েছিল ৭০ হাজার টাকা।