সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০২ অপরাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥
চট্টগ্রাম, (১৯ অক্টোবর) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে “অফিসারদের মূল্যায়নের নামে চাকরিচ্যুতি ও হয়রানি”এর প্রতিবাদে এবং বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে চট্টগ্রামে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক ফোরাম ও চট্টগ্রাম অধিকার আদায় কমিটি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক বিশাল প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন থেকে এই আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বক্তারা অভিযোগ করেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের পুনঃপরীক্ষা গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পরীক্ষা গ্রহণ করেছে এবং যারা এই পরীক্ষা বর্জন করেছেন, তাদের আইডি ব্লক, ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) এবং চাকরিচ্যুত করার মতো শাস্তি দিয়েছে।
মানববন্ধনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিঞা, চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম মাহমুদ, ভিকটিম অফিসারবৃন্দ, এনসিপি নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার প্রায় ৮১ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
গুরুত্বপূর্ণ দাবিসমূহ ও আন্দোলনের কর্মসূচি:
বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন যে, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫৫০০ চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাকে অবিলম্বে পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। আন্দোলনের কর্মসূচির মূল ঘোষণাগুলি হলো:
১. এক দফা এক দাবি: চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল।
২. লেনদেন বন্ধের আহ্বান: গ্রাহকদের প্রতি ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া ও সকল প্রকার লেনদেন বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
৩. শাখা বন্ধের অনুরোধ: আগামী ৯ই নভেম্বর থেকে ২০শে নভেম্বর পর্যন্ত দুই সপ্তাহ চট্টগ্রাম জেলার ইসলামী ব্যাংকের কোনো শাখা না খোলার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
৪. ব্যাংক না খুলতে দেওয়া: এই সময়ে গ্রাহকদেরকে লেনদেন বন্ধ রাখার অনুরোধের পাশাপাশি “ইসলামী ব্যাংক খুলতে দেওয়া হবে না” বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা, অভিভাবক, আপামর জনসাধারণ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক ফোরামের সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম মাহমুদ, যিনি একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জননেতা, তিনি বলেন, “এই আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের অপচেষ্টা বা বাধা সৃষ্টি করলে উদ্ভূত যেকোনো ক্ষয়ক্ষতির জন্য একমাত্র ব্যাংক কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবে।”
আন্দোলনকারীরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ এবং বিভিন্ন শাখায় ইমেইল বার্তা পাঠিয়েছেন। তারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি চাকরিচ্যুত অফিসারদের আইডি খুলে না দেওয়া হয়, ওএসডি প্রত্যাহার না করা হয় এবং নিয়মিত বেতন পরিশোধ করা না হয়, তবে এর পরিণতি ব্যাংকের জন্য সুখকর হবে না।
প্রকাশনায়:
শেখ নজরুল ইসলাম মাহমুদ
সভাপতি, চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক ফোরাম
যোগাযোগ: ০১৮২২ ৮২৬৯৩৬