শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
এক নজরে আলমগীর হোসেন শিশির
বাংলা সাহিত্যের এক সম্ভাবনাময়ী সাহিত্যিক আলমগীর হোসেন শিশির । তিনি সাহিত্যের সকল শাখায় পদচারণা করে থাকেণ। যা এক বিরম সম্মানের।
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ১৯৯৬ সালে তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। একদিন বৃষ্টির দিন তিনি “বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর” শিরোনামে প্রথম একটি ছড়া লিখেন। এর পরে “কেগো তুমি বাঁশরিয়া” শিরোনামে একটি ফোক গান লিখেন। মূলত সাহিত্যচর্চা সেই শুরু। ১৯৯৮ সালে তিনি তৎকালিন বহুল জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আজকের কাগজে লেখালেখি করতে থাকেন। এরপরে ঢাকাস্থ বেশ কিছু সাপ্তাহিক, মাসিক, ষাণমাসিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি করতে থাকেন। ২০০৩ সালে তিনি “একদিন” শিরোনামে একটি কবিতা লিখেন যা ১,৫৫৫ (এক হাজার পাঁচশত পঞ্চান্ন) লাইন বিশিষ্ট ৫২ পৃষ্ঠা ব্যাপি দীর্ঘ। দৈনিক প্রথম, দৈনিক খবরপত্র, দৈনিক গ্রামের কাগজ, দৈনিক নবচিত্র সহ বেশকিছু পত্রিকায় এবং কিছু সাপ্তাহিক পত্রিকায় রিপোর্টি প্রকাশিত হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে থাকে প্রশংসামূলক চিঠি। ২০০৫ সালে তিনি বাংলাদেশ টেভিভিশন (বিটিভি)-এ গীতিকার হিসাবে “খ-শাখা”য় তালিকাভুক্ত হবার সুযোগ পান। এরপরে ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃক একটি চিঠির মাধ্যমে জানতে পারেন তাকে গীতিকার হিসাবে “ক-শাখা”য় উত্তীর্ণ করা হয়েছে। এযাৎ তিনি ছয় ছতাধিকের বেশি আধুনিক, ফোক, দেশাত্মবোধক, ইসলামী, দেহতত্ত্ব, লোকজ, পুঁথিগান লিখে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এছাড়া তিনি পাঁচ শতাধিক ছড়া কবিতা লিখেছেন। ধারাবাহিক ও খন্ডনাটক লিখেছেন ৪২ (বিয়াল্লিশ)টি। ছোট গল্প, চিরন্তবাণী, জীবনী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণাধর্মী গান, কবিতা, নাটক, টেলিফিল্ম ও পুঁথিগান লিখেছেন। এলাকায় তিনি এক নামে পরিচিত একজন মানুষ। নেই কোন আড়ম্বরতা। খুব সাদা মাটা সাধারন জীবন পছন্দ করেন তিনি।
কর্মজীবন:
বর্তমানে তিনি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আনন্দ টিভিতে অনুষ্ঠান বিভাগে কর্মরত আছেন। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন আছেন ২০০৫ সাল থেকে। অনলাইন টিভি কেটিভি বাংলাতে তিনি “শিশিরের আড্ডা” ও “প্রতিভার সন্ধানে” দুটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে ২০০৭ সালে তিনি গীতিকার হিসাবে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে নিয়মিত তিনি স্ক্রীপ্টরাইটার হিসাবে এবং মিডিয়া ভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছেন।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন কিছু লিখে সর্বমহলে প্রসংশিত হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার লেখা সাহিত্যের ভিতরে উল্লেখযোগ্য হল- “যুগে যুগে বঙ্গবন্ধু” “এক দেশ এক নেতা” “শেখ মুজিবুর রহমান” সহ বিবিধ। এছাড়া গণ প্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লিখেছন “বিশ্ব শান্তির দর্শন” সহ বিবিধ। বিদ্রোহী কবি বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লিখেছেন “আজও বাজে সেই বেণূ” ।
তার রচিত বইয়ের কয়েকটি হল:
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ (গবেষণাধর্মী জীবনী গ্রন্থ)
বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ইউনুস আলী খাঁন (গবেষণাধর্মী জীবনী গ্রন্থ)
বিশ্ব শান্তির দর্শন (গবেষণাধর্মী জীবনী গ্রন্থ)
প্রেমক্ষুধা (উপন্যাস)
গন্তব্য কপি হাউজ (নাটক গ্রন্থ)
গোলকধাঁধা (নাটক গ্রন্থ)
তুমি আমার না বলা গল্প (রোমান্টিক কবিতার বই)
যুগে যুগে বঙ্গবন্ধু (পুঁথিগান বই)
চির অম্লান ( কবিতার বই)
ছন্দে ছন্দে ইংরেজি (শিশুতোষ ছড়ার বই দুই খন্ড)
তবুও চলছে জীবন (আত্মজীবনী)
ভালোবাসা ভালো নেই (গীতিকবিতার বই) সহ বিবিধ
চলমান-