বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

সেন্টমার্টিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ৪ স্কুলছাত্রকে অপহরণ

 কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ খুনিয়াপালংয়ের চার স্কুলছাত্র। তাদের জীবিত ফিরে পেতে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত চার স্কুলছাত্র হলো- রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার (১৪), একই এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন (১৪), আব্দুস সালামের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১৫) ও ফরিদুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান (১৪)। তাদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ও বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

রামু থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাধে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। মূলত ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর দুইজনই রোহিঙ্গা নাগরিক। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। পরের দিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। না হলে তাদের লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নং ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে ও তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের বাড়িও সেখানে। তারা দুইজনই বাতিঘর কটেজের বয় হিসেবে কর্মরত ছিল।

স্কুলছাত্র জাহেদুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে গেছে ওই দুইজন। যাওয়ার পর থেকে যখন বাড়ি ফিরছে না খোঁজখবর নিতে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীমের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বুধবার দুপুরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পরিচয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করছে।

রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রামু থানা পুলিশ বলছে যেহেতু বিষয়টি টেকনাফ থানায় তাই তারা সেখানে অভিযোগটা দিতে বলেছেন। পাশাপাশি তারাও তাদের অবস্থান থেকে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।

অপহরণের শিকার কায়সারের চাচা মোহাম্মদ তাহের বলেন, মূলত জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান। পরে তাদের মুঠোফোন ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। ২০ লাখ টাকা আমরা কোথা থেকে দেব?

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, যেহেতু বিষয়টি টেকনাফ থানা এলাকায় পড়েছে তাই আমরা তাদের সহযোগিতা নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করব। নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু পারা যাবে ততটুকুই চেষ্টা করবে পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com