মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন

সীমান্তে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে

বশির আহাম্মদ, বান্দরবান প্রতিনিধি:: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে যে কোনো সময়।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবিরিজী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়রা জানান, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির গোলাগুলি চলছে। তাদের ছোড়া গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে আহতও নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে হাল্কা ও ভারি অস্ত্রের ব্যবহার। বিস্ফোরণের শব্দে কম্পিত হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তমব্রু, বাইশফারিসহ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলো। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফাটল ধরেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের দেয়াল। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। এরমধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। আশপাশের বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকলেও উপস্থিতি কম। নিরাপদ ও স্বাভাবিকভাবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্র সরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং নেওয়া হয়েছে।

ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সীমান্তের কাঁটাতারের ৯০০ ফুটের মধ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের নিরাপত্তার স্বার্থে করণীয় সম্ভাব্য বিষয় নিয়ে রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সোমবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস জানান, সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় ৪০০ পরিবারকে নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কে বৈঠক শেষে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ইয়াছিন পারভিন তিবিরিজী জানান, স্থানীয়দের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আজ (সোমবার) সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com