রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ আগামীকাল বিকেলে ভারতের ওড়িশার ভুবনেশ্বরে পর্দা উঠবে টুর্নামেন্টের। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে নেপাল ও মালদ্বীপ। প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সাফ অনুর্ধ-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠে নামছে বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলাররা। আর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। আসরের সব ম্যাচ হবে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে শুভসূচনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে টিম বাংলাদেশ। আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পাঁচটি দেশ।
নেপাল, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ছাড়া অপর দলটি হচ্ছে স্বাগতিক ভারত। ৫ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আসরে প্রতিটি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। এরপর সেরা দুটি দল শিরোপানির্ধারণী ফাইনাল মহারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এবার বাংলাদেশের যুবারা ভারতে গেছেন শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে।
এই প্রতিযোগিতার আগের আসর হয়েছে অনুর্ধ-১৮ ও ১৯ বয়সীদের নিয়ে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) টুর্নামেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করে নিতে এবার হচ্ছে অনুর্ধ-২০ বছর বয়সীদের নিয়ে। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় কখনও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে অনুর্ধ-১৮ আসরে রানার্সআপ হওয়াই ছিল লাল-সবুজ বাহিনীর সেরা সাফল্য। সাফ অনুর্ধ-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে ও শিরোপা জেতার প্রত্যয় নিয়ে গত শুক্রবার বিমানযোগে ভারত গেছে বাংলাদেশ দল।
৩০ সদস্যের দলে ফুটবলার আছেন ২৩ জন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলিকে এবার এই দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সহকারী কোচ হিসেবে আছেন রাশেদ আহমেদ এবং গোলকিপিং কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য। ইভান রাজলোভ ফিটনেস কোচ। ইলিয়ুস আহমেদ ফিজিওথেরাপিস্ট।
২০১৯ সালে সর্বশেষ হয়েছে এই আসর। সেবার হয়েছিল অনুর্ধ-১৮ বয়সীদের নিয়ে। নেপালে অনুষ্ঠিত আসরটিতে ফাইনালে ভারতের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলার যুবারা।
কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সমানে লড়াই করার পরও ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলার উঠতির তারকাদের। তিন বছর আগের ওই ফাইনালে দ্বিতীয় মিনিটেই ভিপি সিংয়ের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। এরপর ৪০ মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের গোলে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে (৯০+১ মিনিট) রাভি বাহাদুর রানার গোলে শিরোপা জয় করে ভারত।
আসরটিতে ‘বি’ গ্রুপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ও ভারত দু’দলই ৩-০ গোলে হারিয়েছিল লঙ্কানদের। আর নিজেদের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।