মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ক্রেডিট কার্ডের সীমার বাইরে ব্যাংকিং নিয়ম লঙ্ঘন করে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড থেকে ঋণ নেওয়ায় সিকদার পরিবারের ১০ সদস্য এবং সিকদার গ্রুপের দুই কর্মকর্তাকে দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ক্রেডিট কার্ডের সীমা লঙ্ঘন করে ঋণদাতা (ন্যাশনাল ব্যাংক) তাদেরকে ১০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯১ কোটি টাকা) দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত অনুসারে তারা ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন এবং তাদের প্রত্যেকেই ন্যাশনাল ব্যাংক ইস্যু করা বেশ কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি নাগরিক তাদের ক্রেডিট কার্ড বা নগদ ব্যবহার করে এক বছরে ১২ হাজার ডলারের (প্রায় ১০ দশমিক ৩৪ লাখ টাকা) বেশি খরচ করতে পারবেন না।
উল্লিখিত বছরগুলোতে, ১২ জন ব্যক্তিকে তাদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (প্রায় ৬ কোটি ২০লাখ টাকা) ব্যয় করার বৈধ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
নিষিদ্ধ হওয়া ১২ জনের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের ছেলে রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার ব্যাংকটির পরিচালক।
সিকদার পরিবারের অন্য আট সদস্য হলেন- মমতাজুল হক, দীপু হক সিকদার, লিসা ফাতেমা হক, মনিকা সিকদার খান, ম্যান্ডি সিকদার, জেফরি সিকদার, শন হক সিকদার ও জন হক সিকদার। সিকদার গ্রুপের দুই নির্বাহী সৈয়দ কামরুল ইসলাম ও ভারভারা জোরিনা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার (১৩ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকসহ দেশের সব কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়ে তাদের কোনো আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ইস্যু না করতে বলেছে।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১২ জন ক্রেডিট কার্ড অপারেশনের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যা পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে।
রিক, রন এবং মমতাজুলের বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্টের কার্যক্রম বন্ধ করতেও ন্যাশনাল ব্যাংককে বলা হয়েছে।
কার্ডধারীদের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ন্যাশনাল ব্যাংককে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।