মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন

শরীয়তপুর গোসাইরহাটে জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে নরসিংহপুর নৌপুলিশ

মো. নাসির খান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি : দেশে ইলিশের ঘাটতি মেটাতে জাটকা ইলিশ নিধন নিষিদ্ধ করছে সরকার। জাটকা নিধন নিষিদ্ধকালীন সময়ে নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি থাকে বেশ কড়াকড়ি। কিন্তু সকলের নজরদারি এড়িয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী গরীব জেলেদের দাদন দিয়ে জাটকা ধরতে বাধ্য করে। এসব জাটকা মাছ নদীর পাড়ে বিক্রি হচ্ছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাছগুলো জব্দ করেছে নরসিংহপুর নৌপুলিশ। পরে জব্দকৃৃত জাটকা ইলিশ মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি এলাকা থেকে মাছগুলো জব্দ করেছে নরসিংহপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম।

নৌপুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার প্রতিবছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ মাছ নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এসময় জাটকা ইলিশ নিধন, বিক্রি, সংরক্ষণ, পরিবহন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়৷ কিন্তু বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গরীব জেলেদের লোভ দেখিয়ে দাদন দিয়ে থাকে। দাদনের ঋণ শোধ করতে জেলেরা এসময় জাটকা ইলিশ নিধন করে। বুধবার সকালে সখিপুরের নরসিংহপুর নৌপুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি এলাকায় জাটকা ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। পরে নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৭০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ জব্দ করে। অভিযানের সময় মাছ বিক্রি করা লোকজন পালিয়ে চলে যায়। পরে মুন্সীবাড়ি নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা এ এতিমখানা, জামেয়া মোহাম্মাদীয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংসহ কয়েকটি এতিমখানায় মাছগুলো বিতরণ করে দেওয়া হয়।

নরসিংহপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, গোপনের সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুচাইপট্টি এলাকায় জাটকা ইলিশ মাছ নিধন করে বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। পরে অভিযান পরিচালনা করে মাছগুলো জব্দ করেছি। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় মাছ বিক্রির সাথে জড়িত সবাই পালিয়ে গেছে। মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। জাকটা ইলিশ মাছ নিধন বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com