সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

রূপগঞ্জে বন বিভাগের জমির মাটি কেটে প্রকাশ্য দিবালোকে বিক্রি, যাচ্ছে ইটের ভাটায়

নিলয় আহমেদ রাফি, স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কুলিয়াদী এলাকায় বন বিভাগের গাছ কেটে সাবাড় ও মাটি কেটে বিক্রি করে প্রকাশ্য দিবালোকে পাঠিয়ে দিচ্ছে অবৈধ ইটের ভাটায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় কালনি হাই স্কুলের হেড মাস্টার আওলাদ খান, তার চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন খান, একই এলাকার মঞ্জুর খান, মুন্তা খান বনবিভাগের গাছ কেটে সাবাড় করে ও মাটি কেটে ৩০/৪০ ফুট গভীর করে অবৈধ ইট ভাটায় বিক্রি করে আসছে।

স্থানীয়রা জানান, এই চক্রটি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ টুঁ-শব্দটিও করতে সাহস পায় না। আর এই সুবাদে দিনরাত এই বন বিভাগের মাটি কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ এর আগে এই গভীরে গর্তে পড়ে ঐ এলাকার এক শিশুর মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গেছে গেছে।

দাউদপুর ইউনিয়নের বীর হাটাব এলাকার শুভ বলেন, মাটি কাটার বিষয় আমি জানি না তবে প্রতিদিন পুলিশ এসে ৪/৫ হাজার করে টাকা নিয়ে যায়।

ভূমি দস্যুদের সরকারী জমির (বন বিভাগের) মাটি কাটার সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ভুমিদস্যুরা পালিয়ে যায়। মাটি কাটার সময় উপস্থিত নেড়া মাস্তান বলেন আপনারা কত বড় সাংবাদিক আপনাদের থেকে অনেক বড় বড় সাংবাদিক এখানে এসেছে কেউ কিছু করতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না আপনারা ভালাই ভালাই কেটে পড়েন। ভূমিদস্যুরা অনেকেই সরকার দলীয় নেতাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা প্রকাশ করে বলেন, এটা আমাদের যৌথ প্রকল্প অনেকে আমাদের সাথে জড়িত আছে। এমন কি জাহাঙ্গীর মাস্টারও জড়িত। এখান থেকে মাটি কাটার বাঁধা দিতে পারবে না কেউ। আমাদের হাত অনেক বড়।

মাটি কাটার বিষয় ও শিশু গর্তে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে আওলাদ মাস্টার বলেন, এই জায়গা আমাদের বাপ দাদার। কুলিয়াদী মৌজার আর এস ২১০ ও ২১৩ নাম্বার দাগে আমাদের মোট ১৪ বিঘা ৬ শতাংশ জায়গা। এ জায়গা কোনক্রমেই বন বিভাগের নয়, আমাদের জায়গা থেকেই আমরা মাটি কেটে বিক্রি করছি। তবে শিশু গর্তে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা শুনেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com