সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
নিলয় আহমেদ রাফি ,স্টাফ রিপোর্টার : রূপগঞ্জে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে সভাপতি পদে যোগ্য ব্যক্তিকে না দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ৫৮ নাম্বার উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থী না পেয়ে অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দিতে একটি শ্রেণী তৎপর হয়ে উঠেছে। একটি মহল এ কমিটি গঠনে নিজেদের সুবিধার্থে সভাপতির নাম বসিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মতামত নিয়ে কমিটির সভাপতির পদ চূড়ান্ত করার পাঁয়তারা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমি কোনক্রমেই সরকারের নিয়ম-নীতি না মেনে কমিটি চূড়ান্ত করতে পারবোনা বলে সব জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু একটি মহল চাচ্ছে আমার অজান্তে এমপি সাহেবকে দিয়ে কমিটি চূড়ান্ত করতে। যেটা সম্পূর্ণ আমার এক্তিয়ারের বাইরে।
কমিটি গঠনের নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সদস্য সচিব হিসেবে থাকার কথা। তবে এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে অনিয়মের আলোচনা সমালোচনা করেন এলাকাবাসী।
রূপগঞ্জ উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি (এসএমসি) গঠনের কাজ চলমান। কমিটি গঠনের সময়সীমা ২০ মার্চ ২০২৪ হতে ২৩ মে ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় রূপগঞ্জের অধিকাংশ বিদ্যালয় নীতিমালা অনুসারে কমিটি গঠন করলেও ৫৮নং গোলাকান্দাইল উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের কাজ নীতিমালা লঙ্ঘনের চেষ্টা চলছে। জানা যায়, যারা স্নাতক ডিগ্রি পাশ করেনি তাদের সভাপতি পদে এবং যাদের সন্তান উক্ত বিদ্যালয় পড়ে না তারা সদস্যপদের জন্য আগ্রহী। মূলত অর্থের বিনিময়ে সদস্য পদের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, ৫৮নং গোলাকান্দাইল উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে নীতিমালা লঙ্ঘনের চেষ্টা চলছে। কমিটি গঠন নিয়ে চলছে বাণিজ্য এবং পেশীশক্তি ব্যবহার করে পাচ্ছে সদস্যপদ। আরো জানা যায়, যাদের সন্তান উক্ত বিদ্যালয়ে পড়ে না এবং যিনি স্নাতক ডিগ্রিধারী নয় এমন ব্যক্তিও সভাপতির পদ পেতে চেস্টা চালিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, যারা কমিটিতে আসতে আগ্রহী তাদের নীতিমালা বিষয় অবহিত করেছি। তারা এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন কাগজপত্র জমা দেননি। তাই নীতিমালা অনুযায়ী মাননীয় সংসদ সদস্যের নিকট প্রস্তাব পাঠাতে পারছি না । ফলে কমিটি গঠনের কাজ এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১১ সদস্য বিশিষ্ট রুপগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা কমিটিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (সদস্য সচিব)। সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত একজন শিক্ষক প্রতিনিধি। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্য হতে মনোনীত একজন বিদ্যোৎসাহী মহিলা অভিভাবক (ন্যূনতম এসএসসি পাস) এবং বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্য হতে মনোনীত একজন বিদ্যোৎসাহী পুরুষ অভিভাবক (ন্যূনতম এসএসসি পাস) বিদ্যালয়ের একজন জমিন দাতা জমিন দাতার উত্তরাধিকারী (যদি থাকে)। আরো কিছু নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালা মধ্য থেকে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে হয়।