বুধবার, ৩০ Jul ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চলছে রাস্তার কাজ

রাণীশংকৈলে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চলছে রাস্তার কাজ

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট খোয়া, বালু ব্যবহার করে চলছে সড়ক নির্মাণের কাজ। এনিয়ে এলাকাবাসীর গনস্বাক্ষরে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেও পায়নি কোন প্রতিকার। ক্ষমতার দাপটে পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিকাদার।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অফিস সুত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলের প্রকল্প থেকে ১ হাজার ৯৫০ মিটার সড়ক পাকা করার কাজ শুরু হয় গত ৭ আগষ্ট ২০২৪ খ্রি. শেষ হবে ৬ আগষ্ট ২০২৫ খ্রি.।

কাজটি ১ কৌটি ৯২ লাক্ষ ২২ হাজার ৬৩৩ টাকায় বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন লিমিটেড সাহেব বাজার বোয়ালিয়া থানার রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজশাহীর ঠিকাদার নিজে কাজ না করে তা মুনাফার বিনিময়ে রাস্তার কাজটি বিক্রি করে দেন স্থানীয় আবু সাঈদ নামে এক ঠিকাদারের কাছে।

সোমবার ৩০ জুন দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এ কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। যা রাস্তার ইস্টিমেটের সাথে পুরোটাই গড়মিল। রাস্তার কাজে ব্যবহৃত নিম্ন মানের সামগ্রী দেখে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইট ও খোয়ার মান যাচাই না করেই রাস্তার কাজে তা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। এতে অল্প দিনের মধ্যেই সড়কটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এনিয়ে এলাকাবাসী গনস্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেও পায়নি কোন সুরাহা। স্থানীয়রা বলেন, এলজিইডি অফিসে টাকা দিলে বিল পাশ হয়ে যায়। অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়না। কোন ক্ষমতার বলে নিজ খেয়াল খুশি মতো কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদার এমন প্রশ্ন আমাদের। স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত রায় বলেন,আমি নিজেই একজন ইট ভাঙ্গা মিস্ত্রি, ৩ রকমের ভেরাইটিস ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ঠ ইউপি সদস্য শাহাজাহান আলী জানান, এ রাস্তায় ভেরাইটিস ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে ইউএনও এবং এলজিইডি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট রাস্তার কাজে শিবগঞ্জ এলাকার মিস্ত্রি বাবলু এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে রাস্তার এ কাজ করে আসছি। ইটের মান ও কাজ খারাপ আছে, ৩ নং ও গড়েয়া ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে যা মোটেও ঠিক না কিন্তু কি করবেন বর্তমান দেশটার যে অবস্থা কে খোঁজ রাখে এগুলোর। তাছাড়া আমরা কি করবো ঠিকাদার আমাদেরকে যেভাবে কাজ করতে বলবে আমরা সেভাবে কাজ করবো।

এ ব্যাপারে মাহিম ট্রের্ডাসের সস্তাধিকারী ঠিকাদার আবু সাঈদ মুঠোফোনে বলেন, আমি তো কাজটা কিনে নিয়েছি, লাভ আর কত হবে ভাই। এখন আপনার বিকাশ নাম্বারটা দেন তার পর কথা হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া রেজিংগুলো মেরামত করা হবে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া এলাকার লোক তো আর ভাল ইট চেনেনা,১শ ইটের মধ্যে দুই একটা ইট খারাপ যেতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com