মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের কাজ প্রায় ৪ মাস ধরে অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে। মসজিদটি একতলার ছাদ ঢালাইয়ের পর থেকেই নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে কাজ সমাপ্তের চুক্তির নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি।
অর্থের অভাবে কাজ বন্ধের কথা নিশ্চিত করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কন্সট্রাকশন লিঃ এন্ড পারভেজ কন্সট্রাকশন লিমিটেডের(জেভি) প্রজেক্ট প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম ও স্থাপনাটি বাস্তবায়নকারী ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাজেদার রহমান।
ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের তথ্যমতে, রাণীশংকৈল পৌর শহরের হেলিপ্যাড মাঠের প্রায় ৫০ শতক জমির উপরে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫২ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর ৩ তলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক স্থাপনাটির ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা, ঠাকুরগাঁও জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম প্রমুখ। কাজটি চুক্তির তারিখ হতে ১৮ মাসের মধ্যে সমাপ্ত করার চুক্তি থাকলেও ১৮ মাস পেরিয়ে ২৫ মাসেও মসজিদটি নির্মাণের তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদটির শুধুমাত্র এক তলার ছাদের ঢালাই নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে, মিনারটি অর্ধনির্মিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছাদের উপরে পিলারের রডগুলো খোলামেলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, মসজিদের কাজটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কতদিনে শুরু হবে জানিনা। তবে দ্রুত কাজটি শেষ করা উচিত। কারণ সরকারের এমন এক মহৎ উদ্যোগ হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে বলে মানুষের মনে মিশ্র প্রতিত্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি জাকারিয়া হাবীব ডন বলেন, জননেত্রীর এমন উদ্যোগকে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে, তবে হঠাৎ নির্মাণ কাজ বন্ধ কেন তা নিয়ে মানুষের মাঝে আলোচনা সমালোচনা চলছে। আমি আশা রাখছি খুব শিগগির মসজিদটির কাজ সম্পূর্ণ হবে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, কাজ ফান্ডের অভাবে বন্ধ রয়েছে। ফান্ড পেলেই আমরা আবারো নির্মাণ কাজ শুরু করবো।
ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাজেদার রহমান মুঠোফোনে বলেন, আপনারা জানেন এই কাজগুলো প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হচ্ছে ইতিমধ্যে ৫০ টি মসজিদের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ২য় ধাপে আরো ১০০টি হবে। ৩য় ধাপে আরো হবে সে ধাপে রাণীশংকৈলের মসজিদটির অনূকুলে ফান্ড পাওয়া যেতে পারে। ফান্ড পেলেই আমরা কাজ শুরু করবো।