সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন
আবদুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ :
সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও চলমান রয়েছে মাদক বিরোধী অভিযান। প্রতিদিনই মাদকসহ ধরা পরছে ছিছকে ও খুচরো বিক্রেতারা। আবার অনেক সময় কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হচ্ছে ছিছকে মাদক বিক্রেতারা। নারায়ণগঞ্জে কয়েকজনসহ সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে কাউন্সিলরসহ অন্তত ১২৪ জন। এতো কিছুর পরেও অধরাই রয়ে গেল গদফাদাররা। কোন এক অদৃশ্য কারনে নারায়ণগঞ্জে’র মাদক সম্্রাটরা পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের কিছু প্রভাবশালী নেতার শেল্টারে মাদক ব্যবসায়ীরা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে দেশ ধ্বংশের মহাযোগ্য। এ ধ্বংশ যোগ্যে সামিল হচ্ছে বিশেষ পেশার পরিচয়দানকারী, পুলিশ কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ নানান পেশার মানুষ। এটি অবৈধ ব্যবসা হলেও মুনাফা দ্বীগুন থেকে তিন গুন পর্যন্তও হয়। একারনেই মাদক ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে নানা পেশার মানুষ। প্রভাবশালী নেতাদের সাথে কিছু অসাধু প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিশেষ পেশাজীবির সাথে গোপনে আতাত ও নিয়মিত মাসোয়ারা নেয়ার কারনেই মূলত অধরা থেকে যায় গদফাদাররা। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে জেলার প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের নামেও রয়েছে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার গুঞ্জন। তাদের শেল্টারে কারা কাজ করছে তাদেরও তালিকা রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। কিন্তু রহস্যজনক কারনে তাদেরকে গ্রেফতার না করে মাদকের অভিযানের নামে কানামাছি খেলছে প্রশাসন এমন কথাও শোনা যাচ্ছে সাধারন মানুষের মুখে।
প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছে, যে কোন মূল্যেই নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদক নির্মূল করা হবে। আমাদের এ অভিযান চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও চলবে। মাদকের সাথে যারাই জড়িত থাকবে তারা যেই দলেরই হোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। এমন কী পুলিশের কর্মকর্তা হলেও না।
সচেতন মহলের দাবী, মাদক নির্মূলের নামে প্রশাসন প্রহসন করছে। এখন পর্যন্ত যাদেরকে মাদকের সাথে জড়িত বলে আটক করা হয়েছে তারা বেশীরভাগই সেবনকারী এবং ছিছকে বিক্রেতা। এদেরকে যারা লালন-পালন ও শেল্টার দিচ্ছে তারা ঘুরে বেরাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। অনেক সময় তারাই মাদক বিরোধী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বড়-বড় কথা বলছে। তাদের সাথে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে রয়েছে দহরম-মহরম সম্পর্ক। আবার মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িয়ে পরছে পুলিশ ও কিছু অপসাংবাদিক। এভাবে চলতে থাকলে মাদক বন্ধ করা কোন দিনও সম্ভব হবে না। মাদক যদি বন্ধ করতে হয় তাহলে কে প্রশাসন, সাংবাদিক, শেল্টারদাতা বা কে কোন দলের নেতা তা বিবেচনা না করে কঠোরতম শাস্তির আয়োতায় আনতে হবে। তাহলেই কমবে জঙ্গীবাদের মতো মাদক নামের ভয়ঙ্কর জাতি ধ্বংশের মহাযোগ্য। আগামী সংখ্যায় চোখ রাখুন ‘দৈনিক আমার সংবাদ’ পত্রিকায়। আসছে গদফাদারদের নাম———।