বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
নিলয় আহমেদ রাফি, স্টাফ রিপোর্টার।।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মহাসড়ক জুড়েই রয়েছে চোরাই তেল ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট। একটি খুপড়ি ঘরের সামনে কিছু তেলের ড্রাম আর পাইপ ঝুলানো দেখলেই চুরি করে তেল বিক্রি করে দেয় অসাধু চালক। এসব অবৈধ কাজে সহযোগিতা করে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে একটি চাঁদাবাজ চক্র।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ও হাইওয়ে দখল করে নিয়েছে চোরাই তেলের সম্রাট আনোয়ার ও কামরুল।ওখানে সে ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে গেলে ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে টাকা আদায় করে বলেও অভিযোগ করেন মাসুম নামে তেল ব্যবসায়ী। জানা যায় সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে এসব দোকানে প্রকাশ্যে চরাই তেল নামানোর কাজ। অন্যদিকে এসব দোকান থেকে স্থানীয় হাট-বাজারে সরবরাহের দৃশ্যও চোখে পড়ে প্রকাশ্যেই।
রহস্যজনক কারণে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য আরো প্রসারিত হচ্ছে। শক্তিশালী হচ্ছে তাদের সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ, হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ, ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ ও কতিপয় ডিবি পুলিশের অসাধু সদস্য। জানা যায় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা এসব স্পট থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলেন। আর এ কারণেই অবাধে চলে এমন চোরাই তেলের বাণিজ্য।
সূত্র জানায়, মালামাল পরিবহনের মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা বাইপাস মহাসড়কে চোরাই তেল ছাড়াও অন্যান্য পণ্য চোরাই সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। এসব চক্র প্রশাসনের অসাধু সদস্যদের ম্যানেজ করেই ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
চোরাই তেল ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, মালবাহী ট্রাকের চালক ও আমাদের উভয় পক্ষের সমঝোতায় টাকা দিয়ে তেল ক্রয় করি। এখানে চোরাই বলে কিছু নাই। তেল বিক্রির অনুমোদন আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বাচলে ইয়াসিনের ছাড়া কারোই লাইসেন্স নাই। ডিপো লাইসেন্স একমাত্র ইয়াসিনের আছে। মাঝে মধ্যে আমরাও ইয়াসিনের মাধ্যমে বৈধ তেল দোকানে রাখি। তবে এসব দোকান চালাতে গিয়ে অনেককেই খুশি করতে হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, খুব শিগগিরই এসব অবৈধ চোরাই তেল ব্যবসায়ী ও খুপড়ি ঘর উচ্ছেদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, মহাসড়কের আশপাশে ও পূর্বাচলে কিছু অবৈধ চোরাই তেল ব্যবসায়ী রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুনরায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় তিনি দাবি করেন, চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে থানা প্রশাসন কোন প্রকার অবৈধ লেনদেনে জড়িত নয়।