বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: ভারতের উজানে পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল ও মেঘালয়ে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে দ্রুত বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারনে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তা নদীর পানি। এ অবস্থায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে এ তথ্য। দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২.১৫ সেন্টিমিটার)।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে আগামী তিন দিন তিস্তার পানি ক্রমাগত বাড়তে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
তিস্তার পানি বাড়ার কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে পাটগ্রামের গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নে ঢুকে পড়তে পারে পানি।
তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ঢাকার বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী তিস্তার পানি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমার আরও বেশি অতিক্রম করতে পারে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সাময়িকভাবে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।