মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
বান্দরবান প্রতিনিধি বশির আহমেদ: এইবার করোনাতে ব্যতিক্রমধর্মী সময় কাটাচ্ছে বান্দরবানের কামার সম্প্রদায়ের লোকজন।প্রতি বছর এ কোরবানের ঈদের দিনগুলোতে দা,ছুরি,বটিসহ বিভিন্ন লৌহা জাতীয় জিনিস তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটাতো কামার সম্প্রদায়।
অন্য বছর ব্যস্ততার মধ্যে কাটালেও এবারের কোরবানির ঈদ হবে ব্যতিক্রম। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস এর প্রভাব পড়েছে বান্দরবান জেলাতেও। গত বছর গুলোর মতো হচ্ছে এবারের কোরবানের ঈদ। বেচা-বিক্রি নেই কর্মহীন হয়ে,আর্থিক সংকটে আছে অনেক পরিবার।এই মন্দা বেচা-বিক্রির মধ্যে ব্যতিক্রম সময় কাটাচ্ছে কামার সম্প্রদায়।
প্রতিবছর বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গাতে বসতো বিশাল গরু ছাগলের হাট। বালাকাটা, কালাকাটা,বাজালিয়াতে ক্রেতা বিক্রেতাদের সরগমে মুখরিত হতো গর“র হাট গুলো। এর প্রভাব পড়তো কামারশালায়। জেলা সদরের বাজারে বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে,কামাররা বসে অলস সময় পার করছে।এবছর বেচা বিক্রি কম থাকায় কাজ কমেছে কামারের দোকানে। ফলে বর্তমানে কামার’রা কর্মহীন দিনপাত করছেন।
এ বিষয়ে বাবু কর্মকার জানান,আগের বছরে কোরবানি ঈদের ২০ দিন আগে থেকে দিন-রাত নতুন দা, ছুরি, বটি তৈরি এবং শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হতো। দিনে আয় হতো ৪-৫ হাজার টাকা। আর এখন করোনা ভাইরাসের কারণে কোন কাজ নেই। দিনে ২-৩শ’ টাকা আয় করতে পারিনা। এ
ছাড়া আগের বছরে কর্মচারীকে ৬০০ টাকা করে দৈনিক বেতন দিতাম কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাস ও লকডাউন এর কারণে লোক সংকট কর্মচারীকে ১০০ টাকা করে দৈনিক বেতন দিতে হচ্ছে । তাই হাজার বছরের এই কর্মকার সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না,কারণ আমরা সকল কর্মকার সম্প্রদায় এই বছর প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবছর ক্রেতাসাধারণ কম বেচা বিক্রি নেই পরিবারপরিজন নিয়ে আমরা খুব কষ্টে আছি।
কোরবানির জন্য ছুরি কিনতে আসা ক্রেতা রহমানের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, দীর্ঘ কয়েক মাস করোনা ভাইরাসের কারনে সকল মানুষ খুব আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে মানবতার জীবন যাপন করছে।গত বছর গুলোতে যেভাবে আনন্দ উৎসবের মধ্যে কোরবান উদযাপন করেছি এবার আর্থিক সংকট এর মাধ্যমে সেভাবে কোরবানের ঈদ উদযাপন করতে পারছে না।