মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
বান্দরবান প্রতিনিধি:: বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানান তিনি।
নিহতরা হলেন- রেমাক্রি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেন থাং পাড়ার বাসিন্দা আমেন ম্রোথর ছেলে কারবারি মেনথাং ম্রো (৪৮), লংঙান পাড়ার বাসিন্দা মেনপুং ম্রো এর ছেলে লংঙান ম্রো (৫০) এবং একই ওয়ার্ডের সিং চং পাড়ার বাসিন্দা মেন রো ম্রোর ছেলে প্রেন ময় ম্রো (১১)।
তিনি আরও বলেন, রেমাক্রি ও তিন্দু ইউনিয়নে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ৩টি মেডিকেল টিম রিমুভ এলাকা রেম্রাক্রি, বড়মদক এবং আন্ধারমানিকের একটু আগে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিজিবির মাধ্যমে ওষুধপত্র পাঠানো হয়েছে ওইসব এলাকায়।
তবে থানচির দুর্গম এলাকায় কতজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এলাকাগুলো দুর্গম। মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। মেডিকেল টিম ফিরে আসলে বলা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত ৬০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর জানি।
রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুই শৈ থুই মার্মা বলেন, দুর্গম এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট বেশি। ঝিরি-ঝরনা ও খালের পানি দূষিত হয়ে গেছে। ময়লা পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে ধারণা করছি।
এদিকে আলীকদম উপজেলায় ৪ নম্বর কুরুকপাতা ইউনিয়নে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় শতাধিক মানুষ। তবে সেসব এলাকাতে এই পর্যন্ত কোনও মৃত্যু ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সেসব এলাকায় ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুর্গম এলাকাগুলোতে ওষুধসহ চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিজিবি ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে একযোগে কাজ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, খুব দুর্গম এলাকা হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ। আমরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এলাকায় বিজিবির সাথে কাজ করছি। বিনামূল্যে ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগই ঝিরির ময়লা পানি খাওয়ার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মতো ভর্তি আছে।