বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
বশির আহম্মদ, বান্দরবান প্রতিনিধি:: বান্দরবানে “অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত হয়েছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুস ফরাজী, নির্বাহী ম্যাজ্জিট্রেট মোঃ কায়েসুর রহমান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, ২০১১ সালের উৎপাদনশীলতা বিষয়ক বহুপক্ষীয় জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী উৎপাদনশীলতাকে জাতীয় আন্দোলন হিসেবে ঘোষণা করেন এবং সে লক্ষ্যে প্রতি বছর দেশব্যাপী উৎপাদনশীলতা দিবস আয়োজনের ঘোষণা প্রদান করেন। তখন থেকে দিবসটি আড়ম্বভাবে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পালিত হয়ে আসছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সরকার রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২ প্রণয়ন করেছে। ২০৪১ সালে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলার সকল অংশীজনের সমন্বয়ে ভিশন বান্দরবান নামক একটি প্রসপেক্টাস গঠনের কথা উল্লেখ করেন। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি পরামর্শ প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, জুম চাষ পরিহার করে জুমিয়ারা বাগান সৃজন করছে। এর ফলে গরু, মহিষ ও অন্যান্য প্রাণীরা খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে একদিকে জুম চাষের ক্ষতি লাঘব করা গেলেও অন্যদিকে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি তাঁর বক্তব্যে বলেন, তিনি বান্দরবানের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে সভার সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার কৃষি ও খাদ্য উপকরণ দ্রুততার সহিত জেলা সদরে আনতে পারলে কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়েই লাভবান হবেন বলে মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়া, কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বান্দরবানে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।