সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বান্দরবানে জজকোর্টের কর্মচারীসহ ৩ জন কারাগারে

বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধি::

বান্দরবানের সাবেক জেলা জজ এবং জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বেনামী-মিথ্যা-ভিত্তিহীন অভিযোগ দেয়া, অফিসিয়াল গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জজকোর্টের কর্মচারী সহ ৩ জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতে বান্দরবান সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন জজকোর্টের নাজির বেদারুল আলম।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার মো. মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আদালতে মামলা করতে গেলে তার কথাবার্তায় বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের সন্দেহ হয়।

এতে অভিযোগকারীকে নিয়ে ঘটনাস্থল জজকোর্ট সংলগ্ন বিসমিল্লাহ স্টোরে তদন্ত করতে যান অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সহ আরও কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট।

তদন্তকালে দোকানের মধ্যে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের অপর-৫২২/১৫ মামলার মূল নথি এবং দোকানের বিভিন্ন স্থানে আদালতের বিভিন্ন মামলায় গৃহিত জবানবন্দির ফটোকপি ও টাইপকৃত কাগজপত্র এবং ব্যাগের ভিতরে একটি ল্যাপটপ পাওয়া যায়।

ল্যাপটপের মধ্যে বান্দরবান জেলার সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুর রহমান, বিচার বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বান্দরবান জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেনামী-মিথ্যা-ভিত্তিহীন অভিযোগের টাইপকৃত ডকুমেন্ট এবং জেলা জজ কার্যালয়ের বিভিন্ন গোপনীয় অফিসিয়াল কাগজপত্র পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় জজকোর্টের কর্মচারী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জজকোর্টের নাজির বেদারুল আলম সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।

আসামীরা হলেন আদালতের কর্মচারী সবীব দত্ত, রুহুল আমীন, বাবু মং, সাবেক কর্মচারী উবাশৈ মারমা, দোকানদার মো. মহিউদ্দিন, টাইপিস্ট মো. সাইফুল ইসলাম। উক্ত মামলায় পুলিশ জজকোর্টের কর্মচারী সহ ৩ জনকে আটক করে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

মামলার বাদী জজকোর্টের নাজির বেদারুল আলম জানান, আদালতের গোপনীয়তা ভঙ্গ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রেরণের অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবেদ জনসম্মুখে তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। উক্ত মামলায় আদালতের কর্মচারী সহ ৩ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতের আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com