রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসী কাজী আমির বেপরোয়া!

আবদুল্লাহ আল মামুন,নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে প্রয়াত সংসদ সদস্যে পুত্রের নাম বিক্রি করে সন্ত্রাসী কাজি আমির হোসেন বেপরোয়া হয়ে পরেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি’র সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠার কারেন আরও বেশী বেপরোয়া আচরন করছে এলাকার নিরীহ মানুষের সাথে।
জানা গেছে, মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আরামবাগ এলাকার হাবিবুর রহমান হবুর ছেলে কাজী আমির হোসেন দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। প্রয়াত এক সাংসদের পুত্রের নাম বিক্রি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সাত্তার মিয়ার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার কারেন সে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক বিক্রি-সেবন, চুরি,ছিনাত্ি,ডাকাতি ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারসহ নানা অপরাধ করে বেরাচ্ছে। ভয়ে কেউই মুখ খুলতে সাহস পায় না। ভুল করে কেউ যদি মুখ খোলেও তাহলে তাকে মিথ্যা মামলাসহ মারধর করে থাকে ওই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কাজী আমির। অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য তার রয়েছে ৪০/৫০ জনের একটি বিশাল বাহিনী। বাহিনীর সকলের কাছে রয়েছে দেশী-বিদেশী অস্ত্র-সস্ত্র। তার বাড়িতে জেলার শিষ্য মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের আনা-গোনাসহ রাতের বেলায় মেলে হাট। সারারাত ব্যাপী চলে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন। অনেক সময় বিশেষ পেশার পরিচয়ে কয়েকজনসহ প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকেও দেখা যায় তার বাড়ির আড্ডাস্থলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাজী আমির জেলার নাম করা কয়েকজন সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতার সাথে যৌথভাবে গড়ে তুলেছে অবৈধ এক সম্্রাজ্য। যারা ইতিপূর্বে প্রায় ডজন খানেক মামলার পলাতক ও নামধারী আসামী হিসেবে পুলিশের লিষ্টে তাদের নাম রয়েছে। বর্তমানে এলাকার নিরীহ এক ছেলের সাথে গায়ের জোরে যা খুশি তাই করছে। থানায় গিয়েও ওসির কোন সহযোগীতা না পেয়ে এক রকম পালিয়ে বেরাতে হচ্ছে ওই যুবককে। পাশপাশি তার সাথে রয়েছে নয়ামাটি এলাকার শীর্ষ মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু , সন্ত্রাসী মিঠুন, রফেদ আলী, ম্যাংগাসহ জেলার নামধারী সন্ত্রাসীদের সাথে দহরম-মহরম সম্পর্ক। প্রতিদিন রাতেই তারা আসে আমিরের বাড়িতে জমে ওঠে ণেশার প্রতিযোগীতা। ণেশা করার পর রাতব্যাপী মেতে ওঠে চুরি, ছিনতাই, মাদক বিক্রির চালান আদান-প্রদানসহ নানা অপকর্মে। দুদিন আগে তার কথায় রাজি না হওয়া এক যুবককে মসজিদ নামায পরে বের হওয়ার সময় পুলিশ ধরিয়ে দেয় ওই আমির। পরে শুনতে পাই তাকে নাকি ৫০০ শ’ পিস ইয়াবাসহ মামলা দেয়া হয়েছে। শীগ্রই আমিরসহ তার হসযোগীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান জানান, সন্ত্রাসী বা মাদক ব্যবসায়ী যতই শক্তিাশালী হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। আমরা খোজ নিয়ে দেখব যদি সে অপরাধী হয় তাহলে তাকে আমারর আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com