মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে যুবকের লাশ উদ্ধার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তম হালদার(২৫) আজ থেকে ৫৫ দিন আগে নিখোজঁ হয়। ৪০দিন পর গত ২৮ মার্চ বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। সে নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইলের গোবিন্দপুর এলাকার সুরেশ হালদারের ছেলে। এ ঘটনায় উত্তমের ভাই অসীম হালদার বাদী হয়ে প্রথমে সাধারণ ডায়রী করে। লাশ উদ্ধারের পর হত্যা মামলা দায়ের করে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানায়, গত ১৭ ফেব্রæয়ারী উত্তম নিখোঁজ হয়। স্বজনরা তাঁকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে। এক পর্যায়ে না পেয়ে মঙ্গলবার(২৬মার্চ) নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে নিখোঁজ উত্তমের ভাই অসীম হালদার।

পরে ২৮ মার্চ শুক্রবার দুপুরে গোবিন্দপুর ভ‚তের বাড়ির জঙ্গল থেকে পথচারীরা যাবার সময় পচাদুর্গন্ধ পেলে স্থানীয়দের জানায়। এসময় এলাকাবাসী উত্তমের স্বজনদের খবর দিলে তাঁরা লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় ২৯ মার্চ নিহতের ভাই অসীম হালদার বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামীদের অজ্ঞাত দেখানো হয়।

এদিকে লাশ উদ্ধারের প্রায় ১৫ দিনপর আজ শুক্রবার ভোরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোবিন্দপুর এলাকার পান্নু মিয়ার ছেলে শেখ পনির(২৬) ও চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রাব্বি(২৫)কে গ্রেপ্তার করে। এ দুই জনের দেয়া তথ্যমতে উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের হযরতপুর এলাকার হাশেম ভ‚ইয়ার ছেলে রবিন ভ‚ইয়া(৩০)কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিবুল ইসলাম । শুক্রবার দুপুরে তিন আসামীর প্রত্যেককে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালত প্রেরণ করা হয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ মাদক কারবারী উত্তমকে হত্যা করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা রিমান্ড আসলে সঠিক তথ্য জানা যাবে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com