বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাড়ির পাশের ধনচে ক্ষেতের কোণে থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) ভোর ৫টায় উপজেলার মাঝিরকান্দার মৃধাকান্দা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। আমজাদের নামে রাজনৈতিকসহ প্রায় ২০টির অধিক মামলা ছিলো। তাঁর নামে একটি চেকের মামলায় ১ বছরের সাজার পরোয়ানা ছিলো।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যদক্ষদর্শীরা জানায়, ভোর ৪টার দিকে চেকের মামলায় এক বছরের সাজার পরোয়ানা নিয়ে আমজাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। তাঁকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে যায়। এসময় আমজাদের স্ত্রী ঘরের দরজা দিয়ে পুলিশের গাড়ী চলে গেছে জানালে আমজাদ বের হয়। স্ত্রীর ধারণা সে মসজিদে নামাজ পড়তে গেছে। সকাল ৫টার দিকে স্থানীয় লোকজন ও মসজিদের মুসুল্লীরা মৃধাকান্দার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে ধনচে ক্ষেতের পাশে আমজাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারে খবর দেয়। এসময় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা আমজাদকে তুলে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করে। পরে লাশ নিয়ে বাড়ি চলে যায় স্বজনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যুবদল নেতা আমজাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনরা ছুটে আসে আমজাদের বাড়িতে। সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ আমজাদের বাসায় গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে।
আমজাদের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, আমি জানি না আমার স্বামী কিভাবে মারা গেল। আল্লাহর কাছে বিচার চাই। এ কথা বলে বুক চাপরে কান্না করেন।
আমজাদের ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই রাজনীতি করে। তাঁর অনেক প্রতিপক্ষ আছে। পুলিশ তাঁকে ধরতে আসলেও সে কেন ওখানে গিয়ে পড়ে মারা গেল? এটা আমরা বুঝতে পারছি না।
আমজাদের বড় মেয়ে আশা আক্তার বলেন, বাবার মুখে ও চোখের কোণে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে বাবাকে কেউ হত্যা করেছে কিনা তা এখনো বলতে পারবো না।
পরিবারের আগ্রহ না থাকলেও পরে তাঁদের সম্মতিতে পুলিশ যুবদল নেতা আমজাদের লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করাটা জরুরী। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে আমজাদের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁকে দেখতে আসেন বিএনপি নেত্রী (মান্নান গ্রুপ) ব্যারিষ্টার মেহনাজ মান্নান ও দলের নেতাকর্মীরা। এসময় মেহনাজ নিহতের পরিবারকে শোক সমবেদনা জানিয়ে যে কোনো সময় পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আমজাদ দলের একজন ত্যাগী নেতা। অনেক মামলা হামলার শিকার হয়ে আজ এভাবে রহস্যজনক এ মৃত্যুর কারণ আমরা খুঁজে বের করতে চাই।