বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

ধর্ষণ ইস্যুতে বিএনপি ও যুবদল নেতাকে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি॥
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা এ্যাড. খলীলুর রহমান, মো. সুজন ও যুবদল নেতা মো. সোহেল খানকে নিয়ে ধর্ষণ ইস্যুতে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের মানহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে ঐ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের শুভরিয়ার আলগীরচর এলাকায় হাকিম নামে এক ব্যক্তি মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ঐ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় পরে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ভিকটিমকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ডাক্তারের সাহায্যে চিকিৎসা ও ভিকটিমের জবানবন্দিতে পরিস্কার হয় যে ঐ ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরের দিন নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ করার জন্য স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রস্তুতি নিলে বাদিপক্ষ গরিমশি করেন এবং এলাকায় মীমাংসা করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সময় নষ্ট করেন। ইতোমধ্যে ঘটনাটি এলাকায় আরও ছড়িয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় আলগীচর গ্রামের ভাড়াটিয়া এক ব্যক্তি বলেন, কিছু দিন পূর্বে হাকিম তার মেয়েকেও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় দুই ভিকটিমের পিতা পৃথকভাবে থানায় অভিযোগ করেন। ঐ দিনই পুলিশ হাকিমকে আটকের চেষ্টা চালায় কিন্তু ভিকটিমের পিতা রিপনের সহয়োগিতা না থাকায় আসামীকে আটক করতে পারেনি। পরে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

অভিযোগকারি ও বিবাদীগন নিজেদের মধ্যে অপোশ করতে শুরু করেন। কিন্তু ঘটনা চক্রে মো. সোহেল খানকে (যুবদল নেতা) বার বার চাপ দিতে থাকে থানার অভিযোগ তুলে দেওয়ার জন্য। এবং কিছু লোকজান বাহ্রা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা এ্যাড. খলীলের কাছে যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য তখন সে বিষয়টি থানায় মামলা করতে বলেন। এতে বিবাদী পক্ষ কোথাও কোন সুবিধা করতে না পেরে ভিকটিমের সাথে আবারও আপসের চেষ্টা করেন। এক সময় ভিকটিমের পরিবার (ভিকটিমের মা) বিবাদীর কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। তবে আসামী হাকিম হতদরিদ্র (পা প্রতিবন্ধী) হওযায় এত টাকা তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। তবে এক লাখ টাকা দিতে সম্মতি জানান হাকিম। কিন্তু সেই টাকাও জোগাড় করতে না পারায় বাদি-বিবাদীর মধ্যে আবারও সৃষ্ঠি হয় তর্কবিতর্ক। এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার কথা স্থানীয় ভাবে জানাজানি হলে সোহেল খান ও মো. সুজনের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়, যে তারা ২০ হাজার টাকা ভিকটিমের পিতা উজ্জলকে দেই এবং বাকি ৮০ হাজার টাকা সোহেল ও সুজন মিলেমিশে নেয়।

তবে এ বিষয়ে আসামী হাকিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তারা সোহেল ও সুজনকে কোন ধরণের টাকা পয়সা দেয়নি। সোহেল বাহ্রা ইউনিয় যুবদল নেতা ও মো. সুজন বাহ্রা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা। এদিকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে একটি মহল বিএনপি নেতা এ্যাড. খলীল, মো. সুজন এবং যুবদল নেতা মো. সোহেল খানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের মানহানিকর পোষ্ট দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারেন বলে শঙ্কায় আছেন ঐ এলাকাবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com