সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধি::
বান্দরবানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ধর্ষক ওই মেয়েটিকে অসময়ে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করে। হাসপাতালে জীবিত শিশু জন্ম নেওয়ার পরও ভিকটিমের স্বজনরা নবজাতককে ফেলে দেয়। পরে উদ্ধারের এক ঘণ্টার মধ্যেই সাত মাসের ওই নবজাতক মারা যায়।
গত শনিবার (২৪ আগস্ট) বান্দরবান সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ২৬ আগস্ট বিষয়টি জানাজানি হয়। ভিকটিমের স্বজনরা জানান, ধর্ষকের নাম মো. জাহিদ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে ওই শিশু শিক্ষার্থীর ব্যথা শুরু হলে মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। পরে ব্যথা বেড়ে গেলে মায়ের সঙ্গে হাসপাতালের বাথরুমে গেলে সেখানে সাত মাসের জীবিত বাচ্চা প্রসব করে। পরে সবার অজান্তে ভিকটিম ও তার মা একটি ঝুড়িতে করে বাচ্চাটিকে ফেলে দেয়। পরে নার্সদের নজরে আসে বিষয়টি। তারা ঝুড়ি থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তবে এক ঘণ্টা পরই বাচ্চাটি মারা যায়।
ভিকটিমের বড় ভাই জানান, তার ছোট বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জাহিদ নামে এক বখাটে ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং সাত মাসের একটি বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চাটিকে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাদের সঙ্গে আপসের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য চেষ্টা করেও জাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. প্রত্যুষ পল ত্রিপুরা জানান, ‘হাসপাতালে শিশু শিক্ষার্থী পেটব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়। পরে একটি জীবিত বাচ্চা প্রসব করে। প্রসবের এক ঘণ্টা পর বাচ্চাটি মারা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ তথ্য গ্রহণ শেষে লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বান্দরবান সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. জিয়া জানান, ঘটনার পর ভিকটিমকে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও মামলা হয়নি