শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:: ঢাকার দোহার উপজেলার সুতারপাড়ার খালপাড় গ্রামের সোনা মিয়া গাজীর বাড়িতে দোহার থানা পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরিবারের সকলকে মারপিট করে এবং তিন জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় দোহার থানার তৎকালীন ওসি মোস্তফা কামাল, থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উদয় চোকদার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাদ্দাম হোসেন ওরফে মিজানুর রহমানকে দায়ী করে শুক্রবার বিকেল তিনটায় সংবাদ সম্মেলন করে ওই পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সোনা মিয়া গাজীর বড় ছেলে সিরাজ গাজী। তিনি অভিযোগ করেন, দোহারের একজন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার নির্দেশে সেদিন পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীরা প্রবাসী এ পরিবারের উপর নির্যাতন চালায়। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
দোহারে সাবেক ওসি ও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
তিনি আরো জানান, সেদিন ওসির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ওরফে সোনা মিয়া গাজী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর তিন দিন পরে তিনি মারা যায়। দুই ছেলে ফ্রান্স প্রবাসী সিরাজ গাজী ও মিরাজ গাজীকে আটকের পর পুলিশ শাবল দিয়ে আঘাত করে। এসময় মিরাজের পা ভেঙ্গে দেয়। তাঁরা এক মাস কারাগারে ছিলেন। তিনি এখনো অসুস্থ।
সিরাজ গাজী বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দোহার থানার সেই অত্যাচারী ওসি মোস্তফা কামাল ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার দাবী করেন। তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজ গাজী ও মিরাজ গাজী ছাড়াও আশপাশের প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলো।
এ বিষয়ে দোহার থানার সাবেক ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, সুনির্দিষ্ট মামলায় তাঁদেরকে আটক করা হয়। তাঁরা পুলিশের উপরও হামলা করে। সেই ঘটনায়ও দোহার থানায় মামলা হয়েছে।