শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:: ঢাকার দোহার উপজেলায় পদ্মা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরার অপরাধে ১৪ জেলেকে আটক করে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার দুপুর থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত উপজেলার পদ্মা নদীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় মা ইলিশ সংরক্ষণে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মো. মামুন খানের ভ্রাম্যমান আদালতে রোববার সকাল ১১ টায় আটক জেলেদের সাজা প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে দন্ডবিধি-১৮৬০ এবং মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রত্যেককে ১৬ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৪ জনকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়।
এসময় জব্দকৃত আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ মাছ নিকটস্থ এতিমখানায় বিতরণ করে। এছাড়া ব্যবহৃত নৌকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জব্দকৃত আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়
দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিরীন সুলতানা মুন্নী বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে আইন অমান্য করে এরা মাছ ধরছিলো। সে অপরাধে তাঁদের আটক করে সাজা দেয়া হয়।
দোহার কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরির্দমক নুরুল আলম বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি চক্র নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধারে মাছ ধরছে। গত ১৩ অক্টোবর হতে মা ইলিশ রক্ষায় মাছ ধার বন্ধ আছে। এ নির্দেশ চলবে ৩ নবেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মামুন খান বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে উদ্বুদ্ধ করা হয়। মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।