রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে গেলেও লালমনিরহাট জেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলে দুর্ভোগ কাটেনি।
শনিবার (১৬ আগষ্ট) সন্ধ্যায় হাতিবান্ধা উপজেলার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার প্রায় ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। তবে এখনো জেলার সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, পাটগ্রাম ও হাটিবান্ধা উপজেলার অনেক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। রান্না, খাওয়া, পরিষ্কার পানি সংগ্রহসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজগুলোতে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পানি কমলেও খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পানিবাহিত রোগ, বিশেষ করে ডায়রিয়া, চর্মরোগ ও জ্বর বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এদিকে পানিবন্দি মানুষদের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ কার্যক্রম চালালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান, পাটসহ জমির অনেক ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার জানান, তিস্তার পানি আপাতত বিপদসীমার নিচে থাকলেও উজানের ঢল নামলে আবারও পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য নদী তীরবর্তী মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।