রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সংসদীয় আসন ১৭৪ কে ঢাকাÑ১ (দোহার) আসনে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে গণসাক্ষর সংগ্রহসহ বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে নিবার্চন কমিশনে একাধিক আবেদন করেছে দোহার সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার কমিটি।
তাঁরা আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ আবেদন জমা দেন। শনিবার সকাল থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত দোহারের নানা শ্রেণী পেশার মানুষের গণসাক্ষর সংগ্রহ করে এই কমিটির লোকেরা। আবেদনের সাথে নির্বাচন কমিশনে গণসাক্ষর সংগ্রহের তালিকাও জমা দেন তাঁরা। গত ৫ আগষ্টের পর হতেই দোহার ও নবাবগঞ্জকে আলাদা আসনে পুনর্বহালের জন্য দাবি এবং আন্দোলন করছে এলাকার বাসিন্দারা।
কমিশন ও সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার নিকটবর্তী দোহার উপজেলা নিয়ে ১৯৭৩ সালে ঢাকা-১ আসন গঠিত হয়। এভাবে ৩৫ বছর চলতে থাকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১ দোহার ও ঢাকা-২ নবাবগঞ্জকে মিলে একটি আসনে পরিণত করে কমিশন। এরপর থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ দুটি উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন গঠিত হয়।
দোহারের বাসিন্দা আইনজীবী মনির হোসেন বলেন, দুটি আসন এক হওয়াতে গত দেড় যুগে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তাই তাঁরা দ্রুত দোহারকে ঢাকা-১ এবং নবাবগঞ্জকে ঢাকা-২ আসন পূর্বের ন্যায় পুনর্বহাল করে উন্নয়নের গতি বাড়ানোর তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ভোটর সংখ্যা কমের অজুহাত দিয়ে তারা এক সময় এটা করেছেন। বর্তমানে দোহার উপজেলার ভোটার সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭জন। একটা সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার জন্য এ ভোটার সংখ্যা যথেষ্ট। কমিশনকে এ দাবি পূরণে আহবান জানান তিনি।
রোববার বিকেলে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ঢাকা-২) পুনরুদ্ধার কমিটির পক্ষ থেকে আগারগাঁও নিবার্চন কমিশনে গণসাক্ষরসহ আবেদন জমা দেন কয়েকজন প্রতিনিধি। এসময় একই দাবি নিয়ে আরো দুটি পৃথক আবেদন করেন দোহারের বাসিন্দা ঢাবির সাবেক ছাত্র কেএম খালেদুজ্জামান ও দোহার জয়পাড়া কলেজের সাবেক জিএস মো. ফজলুল হক।
আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আহবায়ক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে দ্রুত দোহারকে ঢাকা-১ আসন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এটা জনগণের চাওয়া। এটা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।
আসন পুনরুদ্ধার কমিটির সদস্য সচিব রাসেল আহমেদ বলেন, দোহার ও নবাবগঞ্জকে পূর্বের ন্যায় দুটি আসনে বহাল করতে হবে। কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছি। নাগরিক সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার ও কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি বিশ^াস করেন। ইতিমধ্যে সাধারণ ভোটার ও জনগণ তাঁদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছে। গণসাক্ষর চলছে। এরপর আরো বৃহত্তর কর্মসূচীতে যেতে হবে। দোহার ও নবাবগঞ্জের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের সুফল পেতে হলে আসন দুটিকে পুনর্বহাল না করার কোনো যুক্তি নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার জেষ্ঠ্য নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিবার্চন কমিশন সচিবালয় দেখেন। তাঁরা ভালো জানেন কি সিদ্ধান্ত নিবে।