বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

ঢাকা কাস্টমসের গুদাম থেকে ২৫ কেজি স্বর্ণ উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ অনলাইন:: চার বছরের মাথায় ফের কাস্টমের গুদাম থেকে স্বর্ণ গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টমস হাউজের গুদামে রাখা জব্দকৃত স্বর্ণের একটি অংশ চুরি হওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে কতটুকু স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না তারা। তবে ধারণা করছেন, ২০-২৫ কেজি স্বর্ণ চুরি হয়ে গেছে।

এর আগে ২০১৯ সালে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের গুদাম থেকে ২০ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটে, যাতে কাস্টমসের কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে।

গত শনিবার গুদাম পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ করতে গিয়ে কর্মচারীরা গুদামের ভেতরে স্বর্ণ রাখার ভল্ট ভাঙা দেখতে পেলে স্বর্ন চুরির বিষয়টি নজরে আসে জানিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কি পরিমান স্বর্ণ চুরি হয়েছে তা নিশ্চিত হতে গুদামে থাকা মোট স্বর্ণের হিসাব মিলানোর কাজ চলছে। আর জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট।

তবে রবিবার বিকাল সোয়া ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি বা মামলা করেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এ তথ্য নিশ্চিত করে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক মিঞা বলেন, এখনও এ বিষয়ে কোনো এজাহার বা অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি।

তবে পুলিশ ও কাস্টমসের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে। এজাহার লেখার কাজ শেষ পর্যায়ে। রাতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করবে।

বেশ কিছুদিন ধরেই জব্দকৃত মালামাল গুদাম থেকে চুরি হচ্ছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টমস হাউস তদন্ত করছিল। আর ওই তদন্ত চলার মধ্যেই ঘটলো চুরির ঘটনা।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। বিমানবন্দরে কাস্টমসহ বিভিন্ন এজেন্সির জব্দ করা মূল্যবান সামগ্রী জমা থাকে এই গুদামে।

চুরি হওয়া সোনার মধ্যে অলংকার ও সোনার বার রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা।

কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ও শনিবার কাস্টমস হাউজের আলাদা দুটি টিম গুদামের মালামালের তালিকা প্রস্তুত করা এবং গুদাম পরিষ্কারের কাজ শুরু করে। গতকাল (শনিবার) একটি টিম দেখতে পায় যে, বাইরে থেকে তালা অক্ষত থাকলেও ভেতরের লকার ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এরপরই স্বর্ণ চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গুদামের মালামালের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। দ্রুতই চুরি হওয়া প্রকৃত মালামাল সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য বের করা সম্ভব হবে।

তারা আরও বলেন, ‘আমাদের ধারণা চোর নিজেদের ভেতরেই রয়েছে। তাদের শনাক্তে কাজ করছে একটি যৌথ টিম।’

ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ বলেন, এ স্বর্ণ চুরির পেছনে একটি সিন্ডিকেট জড়িত বলে আমরা ধারণা করছি। কাস্টমস হাউস ও সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি টিম দোষীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com