সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস ও অবাধ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া খালের কচুরিপানা পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা জয়পাড়া খালের বিভিন্ন পয়েন্টে কচুরিপানা ও আবর্জনা সরাতে অংশ নেয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার সকালে শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন দোহার ঢাকা জেলা সহকারী সেক্রেটারি এবিএম কামাল হোসেন, দোহার থানা নায়েব আমীর মাওলানা দলিলুর রহমান, দোহার থানার সেক্রেটারি নুরে আলম ঝিলু, পৌর আমীর মো. সাখাওয়াত হোসেন, কুসুমহাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা হাফেজ আব্দুল ওয়াহাব দোহারী, দোহার উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ওমর ফারুকসহ জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মী।
এসময় স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ জানান, জয়পাড়া খালের বেহাল অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছুদিন ধরেই লেখালেখি হচ্ছে। এতে ঢাকা-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. নজরুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপরই তিনি খালটির কচুরিপানা অপসারণে দ্রুত উদ্যোগ নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জয়পাড়া খালের অধিকাংশ অংশই কচুরিপানায় আচ্ছাদিত। এক সময় এই খাল ঘিরেই গড়ে উঠেছিল দেবীনগর বাজার। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার হাটে যাতায়াতের মূল পথ ছিল এই খাল। বর্তমানে কচুরিপানায় ভরাট হওয়ায় খালটি আর ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। কচুরিপানা ও বাজার এলাকার বর্জ্য জমে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। বর্ষা মৌসুমেও খালের পানি প্রবাহ সংকট দেখা দিয়েছে।
জয়পাড়া খাল পরিষ্কারে দোহার জামায়াত-শিবিরের উদ্যোগ
এছাড়া মশার উপদ্রব বেড়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী।
দোহার পৌর আমীর মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খালটি উন্মুক্ত থাকলেও কচুরিপানার কারণে কার্যত এটি মৃত। এতে শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের অর্থনৈতিক জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সেই দিক বিবেচনা করে আমরা এই সামাজিক উদ্যোগ নিয়েছি।
এ সময় কুসুমহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুল ওয়াহাব দোহারী বলেন, জনগণের সকল সমস্যা সমাধানে দোহার জামায়াত সবসময় পাশে আছে। এই সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে চাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জামায়াত-শিবিরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জয়পাড়া খালের কচুরিপানার ভোগান্তিতে ছিলাম। মশার উপদ্রবে সন্ধ্যার পর দোকানে থাকা যায় না। আজ জামায়াতের এই কার্যক্রমে আমরা উপকৃত হচ্ছি। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।