সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন

ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পূর্তি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: লালমনিরহাটে নানা আয়োজনে পালিত হলো ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পূর্তি। তবে ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পেরিয়ে ৭ বছরে পা রাখলেও এখনো কিছু মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত লালমনিরহাটের ছিটমহলবাসী। এখনো কাটেনি ছিটমহলবাসীর ভূমি জটিলতা। আর সেখানে নাম মাত্র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হলেও নেই ভাল মানের চিকিৎসক। নেই বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ। জেলা প্রশাসনের আশ্বাস ছিটমহলকে ঘিরে সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। খুব শীঘ্রই ভূমি জটিলতাসহ সকল সমস্যার সমাধান করা হবে ছিটমহলবাসীর।

শনিবার (৩১ জুলাই) রাত ১২টার পর লালমনিরহাটের ভিতরকুটি ছিটমহলে পালিত হয় ছিটমহল বিনিময়ের ছয় বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। যা উপলক্ষে পরদিন রবিবার দিনব্যাপী চলছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টার পর ৬৮ বছরের অন্ধকারের অবসান শেষে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করেন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী। ৬ বছর পেরিয়ে ৭ বছরে যাত্রা শুরু করলেও এখনো সেখানে চোখে পড়ার মতো তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি লালমনিরহাটের ৫৯টি ছিটমহলে।

এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই ভুগছেন ভূমি কেনাবেচার জটিলতায়। তাদের অভিযোগ, জরিপের সময় ঘুষ নিয়ে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করেছেন ভূমি কর্মকর্তারা।

শুধু তাই নয় সেখানে নাম মাত্র কিছু স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হলেও আজ পর্যন্ত ভালমানের চিকিৎসক দেখা যায়নি এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ফলে সেবা নিতে যেতে হয় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার দুরে। এছাড়াও সেখানকার কিছু বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হলেও আরও কিছু বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। তাই মানবেতর জীবন যাপন করছে সেখানে কর্মরত শিক্ষকরা। বেতন না পাওয়ায় অনেকেই শহরে এসে বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স ও অন্যের দোকানে কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। আর চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা না থাকায় বেকার থাকতে হচ্ছে শিক্ষিত যুবকদের।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর ছিটমহলবাসীকে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে বলেন, ছিটমহলকে ঘিরে সরকারের নানা ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব উন্নয়ন কার্যক্রম চালু করা হবে। তখন ছিটমহলবাসীকে তাদের কোন রকম কাজে আর বেগ পেতে হবে না। খুব শিঘ্রই ভূমি জটিলতা কাটবে ছিটমহলবাসীর। দেশের অন্যান্য নাগরিক যে সুবিধা ভোগ করে তারাও একই রকম সুবিধা পাবে।

ছিটমহলবাসীর ভূমি জটিলতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, জমি নিয়ে ছিটমহলবাসীর আর কোন জটিলতায় থাকতে হবে না। ভুমি জরিপের সময় প্রকৃত লোকই জমির মালিক হচ্ছেন পর্যায়ক্রমে অন্যান্যরাও এই সুবিধা পাবেন।। তখন ভূমি কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করে দিতে আর পারবেন না।

তবে ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সেখানে চোখে পড়ার মতো তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দ্রুত ভূমি জটিলতাসহ সব রকম সমস্যার সমাধান চান ছিটমহলবাসী

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com