বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২১ পূর্বাহ্ন

চির উন্নত মম শির

এটিএম নিজাম:: অনিয়ম-দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হঠাৎ রাস্তায় শিক্ষার্থী সমাজ। গত দু’দিন এ ‘অফবিট’ রিপোর্ট নিয়ে সব মহলে হৈ চৈ পড়ে গেল। তোলপাড় সৃষ্টি হল দেশ জুড়ে।যখন ঘৃণা আর ক্ষোভে ফিরিয়ে নেয়া মুখগুলো আবার হুমড়ি খেয়ে পড়লো প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পর্দায়। এমন সর্বজনীন ঘটনা অবশ্য ক’দিন আগে বিশ্বকাপ ফুটবলেও দেখতে পায় পৃথিবী।

ছাত্র সমাজের দায়িত্ববোধ ও আর এ ‘আইডিয়া’ নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ মিডিয়া। উচ্ছ্বসিত প্রশংসার বাণী থেকে বাদ যায়নি সরকার, বুদ্ধিজীবী সমাজ এমনকি সংসদের বাইরে থাকা প্রধান বিরোধী দল।

তবে ভাবনার বিষয় এই যে, তাহলে এমন কী সবের ব্যত্যয় ঘটেছে , যে কারণে হঠাৎ করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ওপর দর্শক- শ্রোতাদের আগ্রহ – বিশ্বাসে দারুণ ভাটা পড়েছে।

মনে রাখা জরুরি, সাধারণ মানুষ ও নাগরিক সমাজকে বোকা বানিয়ে বেশিদিন এ বাণিজ্য চলে না। কেন না, নাগরিক সমাজ মিডিয়ায় তার নিজের হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদনার অবিকৃত ছবি দেখতে চায়।

ফকল্যান্ড যুদ্বে সত্য প্রকাশে BBC নিজ রাষ্টের নিয়ন্ত্রণ উপেক্ষা করে নির্ভীক ভূমিকা পালনের মাধ্যমে আজ দুনিয়াজোড়া সত্য ন্যায়ের বলিষ্ঠ প্রতীক হিসাবে গর্বের আসন বগলদাবা করেছে।

আমরা জানি, এক সময় মিডিয়াকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হতো। আজকাল কিন্তু সেই মিডিয়াকে বলা হয় ” পার্লামেন্ট অলওয়েজ ইন সেশন ” অর্থাৎ, মিডিয়া হচ্ছে চলন্ত সংসদ। সুতরাং মিডিয়াকে গ্রহণযোগ্যতার জন্য ঘুরে দাঁড়াতে হবে স্ব-মহিমায়। কেননা, এ্যামবেডেড জার্নালিজমের সুবিধাভোগী চরিত্রের আড়ালেই লুকিয়ে আছে মুক্তির পথ।

আর এক্ষেত্রে যে মিডিয়া যত ডায়নামিক ভূমিকা পালন করবে – সেই তত বেশি সফলতা পাবে। আর মুখেশধারীদের মুখোশ উন্মোচনে আজকের শিক্ষার্থীদের মতো আরও বড় কোনো ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে। এভাবেই হঠাৎ আওয়াজ উঠবে, ‘মুখোশ খোলো, ক্লিক করি আসল ছবির জন্য।” সময় বয়ে যায়। “সুতরাং, সাধু সাবধান!

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com