বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১৩ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি॥ চট্টগ্রামে মারামারি মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় বাদির বাড়িতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এই সময় ভিকটিম বাধা দিতে এলে তার পেটে লাথি মেরে ফেলে শরীরের উপর বসে কণ্ঠনালী চেপে ধরে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করার সময় ড্রয়ারে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিড়ে নষ্ট করে ফেলে আরমান, রুবেল, সাগর ও হাসিব। ভিকটিম তাসফিয়া এখন তার পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায় গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানার কদমতলী রেলগেইট ইঞ্জিনিয়ার কলোনী ইমাম হোসেনের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ভিকটিমের ভাই আলতাফ কে আটকিয়ে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিলে, আলতাফ প্রতিবাদ করলে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শারীরিক ভাবে জখম করে আরমান। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কদমতলী এলাকায় একটি মোবাইল ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ভিকটিমসহ ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আলতাফ ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম ঘটনায় জড়িত আসামী আরমান কে চিহ্নিত করিলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
রাতে বস্তি এভিনিউ কলোনীর সামনে রাস্তার উপর আলতাফ কে একা পেয়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে টেনে হেছড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় আলতাফ এর মা দেখতে পেয়ে ছেলেকে বাচাতে মা এগিয়ে গেলে, মা’কেও এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে সন্ত্রাসী আরমান। ওই সময় আলতাফ এর মা রহিমা বেগমের সাথে থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী রুবেল, আরমান, সাগর ও হাসিব। তাদের ডাক চিৎকাওে লোকজন এগিয়ে এলে আলতাফ কে প্র নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় আলতাফ এর মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামে সি.আর মামলা করেন। ঘটনার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ১৮ অক্টোবর এর হামলার ঘটনায় আলতাফ এর বোন তাসফিয়া আক্তার (১৮) বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ২২ অক্টোবর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ চট্টগ্রামে, সি.আর মামলা করেন।