সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

কালীগঞ্জে ধর্ষনের পর কিশোরীর সন্তান প্রসব, ধর্ষক দুইজন, কে হবে এই সন্তানের বাবা?

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: লামনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষনের ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। ধর্ষক দুইজন, তাদের মধ্যে কে হবে এই সন্তানের বাবা.? এ নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার (৪ জুলাই) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী এই পুত্র সন্তান প্রসব করেন।

ধর্ষনের ঘটনায় এর আগে গত ২০ এপ্রিল ওই অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রবিউল নামে একজনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। যাহার মামলা নং-২৫।

জন্ম নেয়া সেই সন্তানের পিতৃপরিচয় ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোয়াশায় রয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ‘কে হবে এই নবাগত সন্তানের বাবা? কে নিবে এর ভবিষ্যতের দায়িত্ব? এমন একাধিক প্রশ্নের সম্মুক্ষিন ওই কিশোরী ও তার পরিবার। ধর্ষনের স্বীকার ওই কিশোরী উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিন দলগ্রাম এলাকার সামছুদ্দিনের কিশোরী মেয়ে।

এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় ধর্ষন মামলা করার পরেও দুই মাসেও দুই ধর্ষকের একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, অন্ত:স্বত্বা হওয়ার বেশ কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে গত ৩ জুলাই ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার পরিবার তাকে থানা পুলিশের নিকট নিয়ে যায়। পরে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মকবুল হোসেনকে দিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ৪ জুলাই রাতে ওই কিশোরী একটি পুত্র সন্তানের মা হন।

ধর্ষনের শিকার কিশোরীর মা ফাতেমা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, বাবা মুই গরিব মানুষ অভাবে কষ্ট করি দুই বেলা খাবারের জন্যে মাটি কাটার কাজ করি সংসার চালাং (চালাই)। মুই মাটি কাটার কাজত গেইলে রবিউল এবং আরিফুল নামে দুই জন লম্পট মোর (বেটিকে) মেয়েকে বিয়ের কথা কয়া (বলে) এই সর্বনাশ করছে। মুই গরিব হইলেও মোরতো মান-সম্মান আছে? এলা মুই মানুষোক (লোককে) মুখ দেখের (দেখাতে) পাংনা (পাইনা)। এলা (এখন) কোনটে (কোথায়) থুইম (রাখবো)এই ছাওয়াক? (মেয়েকে)। ‘কায় (কে) হইবে এর বাপ? (বাবা)।কী হইবে এই ছাওয়াটার (মেয়েটার) ভবিষ্যৎ কিছু ভাবিয়াও পাংছে (পাচ্ছি) না।

তিনি আরও বলেন, থানাত মামলা করির গেইলে মোর সাথে থাকা কয়টা দালাল আসামী আরিফুলের নাম বাদ দিয়া তার বড় ভাইয়ের নাম বসে দেয়। মুই মুর্খ মানুষ লেখা পরির পাংনা (পাইনা)। কি করিম বাবা ছাওয়াটাক (মেয়েটাক) নিয়া মুই বাড়ির বাহিরে কাজ করার সুযোগে যারা মোর ছাওয়াটাক এমন সর্বনাশ করছে মুই এলা তামার (তাদের) উচিত বিচার চাং (চাই)।

এদিকে এলাকবাসীরা মুল ধর্ষককে আইনের আওয়াত এনে সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানিয়েছেন।

এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com