রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন

ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে বুড়িমারী স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও চেকপোস্টে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করেছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। বুড়িমারী দিয়ে ভারত থেকে আসা সকল পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টা মেয়াদী করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ দেখাতে হচ্ছে।

এছাড়াও বুড়িমারী ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী ও ট্রাক চালকদের হ্যান্ডস্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ভারতীয় ট্রাক চালকদের ট্রাকের মধ্যে অবস্থান করতে হচ্ছে। চালকদের ট্রাক থেকে বাইরে বের হতে হলে ৪৮ ঘণ্টা মেয়াদি করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ দেখাতে হচ্ছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বুড়িমারী ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে একজন পাসপোর্ট যাত্রী এসেছে। তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) ৬ জন পাসপোর্ট যাত্রী এসেছে। তাদের মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসায় দুজন ভারতীয় নাগরিক ও ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক এসেছে। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) এসেছে বাংলাদেশি নাগরিক দুজন, ভারতীয় নাগরিক একজন ও নেপালি নাগরিক একজন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বর্তমানে ভারত ও নেপাল থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে আসছে। আর বাংলাদেশি যারা ভারত থেকে আসছে তাঁরা মেডিক্যাল ভিসায় ভারত গিয়েছিল।

বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস’র ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মো. কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাস্টমসের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সেবা গ্রহীতা বা সিঅ্যান্ডএফ যারা আছেন তাঁরা নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন।থ

বুড়িমারী স্থলবন্দরে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (এডি) রুহুল আমিন বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরের করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে অফিসিয়ালভাবে সরকারের নিকট থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থলবন্দরে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বন্দর সংশ্লিষ্ট ও শ্রমিকরা মাস্ক ব্যবহার করে কাজ করছে। এছাড়াও ভারতীয় ট্রাক চালকদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের এখন পর্যন্ত নির্দেশনা হচ্ছে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের ক্ষেত্রে ১টা ডোজ টিকা দেওয়ার পর ১৪ দিন পার হয়েছে অথবা অন্য কম্পানির দুটি টিকা দেওয়ার পর ১৪ দিন পার হয়েছে তাদেরকে আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন দরকার নেই। তাঁরা সরাসরি বাড়িতে যেতে পারবে।

প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ট্রাক চালকদের ট্রাক থেকে বাইরে বের হতে হলে ৪৮ ঘণ্টা মেয়াদি করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। ওই সনদ না হলে ভারতীয় ট্রাক চালকদের ট্রাকের মধ্যে অবস্থান করতে হবে। ওমিক্রনের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপের মোট ৯টি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com