মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, উৎস থেকে বর্জ্য পৃথক করা হলে পরিবেশবান্ধব নগর গড়া সম্ভব।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশের নিরাপত্তা ও বায়ুদূষণের বিষয়কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আধুনিক বিশ্বে থ্রি আর বা রিসাইকেল, রি-ডিউস ও রি-ইউস এ তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
গতকাল সকালে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৩ নং রোডে জাইকার বর্জ্য পৃথকীকরণ ও থ্রি আর সচেতনতা বিষয়ক র্যালির উদ্বোধনীতে মেয়র বলেন, নগরীতে সাধারণ বর্জ্যের পাশাপাশি মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সংক্রমণজনিত বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি নগরবাসীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতামূলক লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং, সভা-সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাইকা কর্তৃক বর্জ্য পৃথকীকরণে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য র্যালির আয়োজন একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং তারা গৃহস্থালিতে কঠিন, তরল ও রিসাইকেলযোগ্য বর্জ্য আলাদা করতে উদ্বুদ্ধ হবেন। ফলে বর্জ্য সংগ্রহ ও পৃথকীকরণে কোনো সমস্যা হবে না।
মেয়র বলেন, বর্জ্য অপসারণ ও বর্জ্যকে শক্তিতে পরিণত করতে জাইকা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনার একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ। এতে বর্তমান ও ভবিষ্যতে দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ে তোলার সম্ভাবনা উম্মোচিত হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও নগরবাসীকে সামিল হয়ে দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ে তুলতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র।
স্বাগত বক্তব্যে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন মূলত সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, দেশি-বিদেশি সংস্থার সহায়তা নিয়ে নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। চসিকের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প জাইকা বাস্তবায়ন করেছে যার সুফল নগরবাসী ইতোমধ্যে পেয়েছে। আশ করি সামনে আরও ভালো ফল পাবে।
জাইকার টিম লিডার মাসাহিরো সাইতো বলেন, উৎস থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে আমরা যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি এর সুফল নগরবাসী পাবে।
তিনি বলেন, মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহে পরিবহন, পৃথকীকরণ ও ইন্সেনেরেটরের মাধ্যমে বর্জ্য ভস্মিভূতকরণের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে দূষণমুক্ত পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে। সূত্র : বাসস।