সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

আইসিইউ থেকে কেবিনে নুর

একুশের কণ্ঠ ডেস্ক:: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এজন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢামেকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঢামেক পরিচালক বলেন, নুরুল হক নুর এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ। তার নাক ও চোয়ালের ভাঙা হাড় পুরোপুরি সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন।

তিনি বলেন, বিভাগীয় প্রধানরা তাকে সার্বক্ষণিক দেখছেন। তার চোখের মধ্যে যে রক্তজমাট হয়ে আছে সেটি ঠিক হতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ লাগতে পারে। নুরকে নরমাল খাবার খেতে বলা হয়েছে। তবে তিনি খাবার খাওয়ার সময় ব্যাথা পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন। এটি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, আঘাতের পর নুরের নাক থেকে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে তার কিছু অংশ শ্বাসনালীতে চলে গিয়েছিল। গতকাল কাশির সঙ্গে দুই বার সেই রক্ত এসেছে। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই। তার বোর্ডের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আইসিইউ থেকে আজ কেবিনে শিফট করা হবে।

নুরকে দেখতে এদিন সকালে হাসপাতালে যান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাও বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়ার পর নুরুল হক নুর হামলার ঘটনায় মামলা করবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ বহুজন আহত হন। গুরুতর আহত নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com