মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: ডিএমপি স্বাধীন সত্ত্ব নয়, এটা সরাসরি দলীয় সরকারের কর্তৃত্বাধীন। সুতরাং সরকার যেটা বলবে ডিএমপিতো সেটাই করবে। আর ডিএমপি সেটাই করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী।
আজ বুধবার বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সভা-মিছিলের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং এটিকে কিভাবে দেখছে বিএনপি?
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এটিকে নেতিবাচকভাবেই দেখছি। আমরা দেখছি সংকুচিত গণতন্ত্র আরও সংকুচিত হচ্ছে এবং একটা ভয়ংকর রকমের কর্তৃত্ববাদী, একনায়কোচিত এবং এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করার সমস্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। একটা অশুভ ইচ্ছা পূরণের জন্য এবং একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮ তারিখের রায় নিয়ে সরকার যে নানামুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছে, আমি মনে করি ডিএমপির এই বিধি নিষেধ তারই একটা অংশ। এর মাধ্যমে একটা জিনিস পরিস্কার যে বিএনপির চেয়ারপারসনের ৮ তারিখের রায় নিয়ে সরকার এখানে যে প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে এটা মানুষের মধ্যে একটা প্রশ্ন দেখা দিবে।
খবর পাওয়া গেছে ৮ তারিখের রায়ের দিন ঘিরে দলের মধ্যে একটা প্রস্তুতিরও খবর আসছিল, তাহলে তৃণমূল এবং ঢাকার অন্যান্য নেতাকর্মীদের মধ্যে ডিএমপির এই নির্দেশনার পর কী ধরণের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে?
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দল বা যে কোনো চিন্তা বিশ্বাসের মানুষ যদি এটি অন্যায় মনে করে প্রতিবাদ করে তাহলে সেটা কি অগণতান্ত্রিক। সেটার জন্য প্রতিবাদী বক্তব্য রাখা বা তার মত প্রকাশ করা এটা কি বেআইনি কোনো কাজ। গণতন্ত্রের পরিসরের মধ্যে যেটুকু প্রতিবাদ করা যায় আমরা গণতান্ত্রিক রীতি পদ্ধতির মধ্যে সেই প্রতিবাদটুকুই করবো। কারণ আমরা মনে করি এখানে যদি কোনো অন্যায় হয় এবং ন্যায়-বিচারের কোনো প্রতিফলন না হয়, তাহলেতো দেশের মানুষ এবং দলের নেতারা প্রতিবাদ করতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে দানবীয় পর্যায়ের দমনের নানাবিধ পদক্ষেপের জন্য আমরা বলছি সরকারের কোনো অশুভ ইচ্ছা আছে। এইজন্য বলছি ডিএমপির পদক্ষেপটি একটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ।
এই ধরণের পদক্ষেপ বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কতটা চিন্তিত করছে?
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতো অত্যাচার, নিপীড়ন, গ্রেফতার, বাসায় হানা দেওয়ার পরও নেতাকর্মীরাতো সাহসিকতা বা দৃঢ়চিত্তের সাথে আসছে। তারপর বিএনপির চেয়ারপারসন যখন সিলেট গেছেন রাস্তার দুইধারে মানুষ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন এবং বিএনপির চেয়ারপারসনকে যখন হয়রানি করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও দেখেছেন নেতাকর্মীরা তার গাড়ি বহরের সাথে হেঁটে যায়। তারা সমস্ত নির্যাতন ও গ্রেফতারের আতঙ্ককে মাথায় নিয়েও তারা এই কাজটি করে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গেছে পাশাপাশি জেলার প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিদেরও ধরে নিয়ে গেছে। তার মানে সরকার একটা ভয়ঙ্কর সান্ধ্য আইন জারি করেছে।