সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলে, রায়ের বিরুদ্ধে আইনি মোকাবিলা করবে বিএনপি। দল প্রধানকে কারাগারে পাঠানো হলে উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। আর এতে নিম্ন আদালতে সাজা হলেও সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আইনগত কোনো বাধা থাকবে বলেও মনে করেন তারা। পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কথাও ভাবছেন তারা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ৮ ফেব্রুয়ারি। এই মামলাকে রাজনৈতিক দাবি করে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার আশঙ্কা করছে দলটি। আইনজীবীরা বলছেন ন্যায় বিচার হলে খালাস পাবেন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ হয়নি বলেও মত তাদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এ সরকার বা জনগণ কারোরি কোনো ধরনের অর্থ জড়িত নেই। মামলাগুলো করা হয়েছে বেগম জিয়াকে হয়রানি করার জন্য এবং জনগণের সামনে হেয় করার জন্য।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহাবুব হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যদি সাজা দেওয়া হয় তাহলে রাজনীতির প্রাঙ্গন উত্তপ্ত হবে, এবং আইনি লড়াই হবে। বেগম জিয়াকে সাজা দিলেও তিনি কয়েক মাসের মধ্যেই বেরিয়ে আসবেন। তবে সাধারণ মানুষের মনে যে বিক্ষোভ সে বিষয়টি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় নিয়ে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বেগম জিয়াকে যদি সাজা দেওয়া হয় তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে মোকাবিলা অনেকভাবে হবে। সাজার বিষয়টি নিয়ে যদি বিক্ষোভের দিকে যায় তাহলে অবিশ্বাসের কিছুই নেই।
আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নেতাকর্মীদের তৈরি নির্দেশনাও দিয়েছে বিএনপি। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি