বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
আলহাজ হোসেন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কালামপুর এলাকায় সোমবার রাতেও সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনের হাত-পা বেঁধে মারধর করে লুট করা হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল। এভাবে প্রায় প্রতিনিয়ত ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পোশাক শ্রমিকসহ গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলা চন্দ্রা-সাহেবাবাদ ও চন্দ্রা-সিনাবাহসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে প্রায় প্রতিনিয়ত ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গত সোমবার রাতেও নাইট ডিউটি শেষে এপেক্স গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হলে শ্রমিকরা তাদের বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাত সোয়া ১০টার দিকে দুজন শ্রমিক দেখেন উপজেলার কালামপুর এলাকায় চন্দ্রা-সাহেবাবাদ আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে রাখে ডাকাতদল। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের হাত-পা বেঁধে মারধর করে সড়কের পাশে ফেলে রাখে। এরপর মোটরসাইকেল যোগে আরো দুইজনকে বেঁধে মারধর করে ডাকাত সদস্যরা। এসময় তারা অপর একটি সিএনজি ও মুরগির গাড়ি আটক করে কয়েকজনের হাত-পা বেধে মারধর করে। পরে তারা ওই মুরগির গাড়ি থেকে আড়াই লক্ষ টাকাসহ ডাকাত কবলিত লোকজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত সাহেবাবাদ এলাকার পোশাক শ্রমিকরা বাসায় না ফেরায় এবং সবার মোবাইল ফোন এক সাথে বন্ধ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এতে ডাকাতের কবলে পড়েছে সন্দেহ হলে গ্রামবাসী ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত শ্রমিক ও যাত্রীদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
এদিকে গ্রামবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ গণডাকাতির ঘটনার পর প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে ডাকাত কবলিত পরিবারের লোকজন। শুধু ওই সড়কই নয়, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এসব সড়কে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ডাকাতির ঘটনার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। এভাবে প্রায় প্রতিনিয়ত এসব সড়কে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পোশাক শ্রমিকসহ গ্রামবাসী। তবে ঈদের আগেই তারা এই ডাকাতির সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার (ওসি) অপারেশন যুবায়ের আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।