শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
বশির আহাম্মদ, বান্দরবান প্রতিনিধি:: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে গোলাগুলি, হাল্কা ও ভারি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের শব্দে কম্পিত হচ্ছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, বাইশফারি, ফাত্রাঝিরি, রেজু আমতলি, গর্জবনিয়াসহ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম গুলো।
এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফাটল ধরেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের দেয়াল গুলোতে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।
দিন গত রাতে ঘোনার পাড়া এলাকায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষিপ্ত অবিষ্ফোরিত মর্টারসেল এসে পড়ে বাংলাদেশের সীমানায়।
এ নিয়ে স্থানীয়দের জনমনে চরম আতংক বিরাজ করলেও কোন প্রকার হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সীমান্তের চলমান অস্থিরতা পর্যবেক্ষণের জন্য, তুমব্রু, কোনার পাড়া, ক্যাম্প পাড়া, তুমব্রু বাজারসহ কয়েকটি পাড়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমজাদ হোসেন সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস, নাইক্ষ্যংছড়ি নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা, ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান সহ প্রশাসনের সংশয় ব্যক্তিবর্গ।
তারা ঘুমধুম মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘুমধুম, তুমব্রু, ভাজাবুনিয়া, বাইশফাঁড়িসহ দীর্ঘ সীসান্ত পরিদর্শন করেন তারা।পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়কে এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কিনা- সে বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন। স্থানীয়রা আপাততঃ এখান থেকে কেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি বলে আশ্বস্ত করেছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত বছর কোনার পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিবদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ঘুমধুম থেকে এসএসসি কেন্দ্র সরিয়ে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করতে হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের ওপারে গতকাল মঙ্গলবার ১৮ টি মর্টারশেলের আওয়াজ শুনেছেন স্থানীয়রা। এ কারণে অনেকে আতংকে থাকলেও ভয়ের কোন কারণ নেই। কেননা সীমান্তে ৩৪ বিজিবির জোয়ানরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন সার্ক্ষণিক খবরাখবর রাখছেন।