মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: ৬ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় থাকা ও বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলা, মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, চুরি, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনপন্থী প্রতিবাদে অংশ নেওয়া কিছু শিক্ষার্থীও ট্রাম্প প্রশাসনের নজরে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘ইহুদিবিরোধী আচরণ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত অভিযোগের বিস্তারিত কিছু জানায়নি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলও খতিয়ে দেখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বা হুমকিমূলক পোস্ট পাওয়ার ভিত্তিতেও অনেকে অভিযুক্ত হয়েছেন।
সম্প্রতি গাজার নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভ্রমণ ভিসা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমিতসংখ্যক মানবিক ভিসা প্রদানের নীতি পুনর্মূল্যায়ন চলাকালে এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
গত মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, জানুয়ারি থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়েছে এবং এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অতিথি হয়ে যারা শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করছেন বা নিয়ম ভঙ্গ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ডেমোক্র্যাট নেতারা এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এটি শিক্ষার্থীদের আইনি অধিকার হরণের শামিল।
‘ওপেন ডোরস’ নামের একটি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২১০টিরও বেশি দেশ থেকে ১১ লাখের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ছিলেন।