শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: গাজায় হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে জীবিত ও মৃত মিলিয়ে ৪৮ জনকে আগামী সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবেই এই বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। খবর আল জাজিরা’র।
শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হতে যাচ্ছে। কারণ হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলিকে যার মধ্যে জীবিত ও মরদেহ উভয়ই রয়েছে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।
তিনি বলেন, তারা এখনই কাজ শুরু করেছে। অনেক মরদেহ খুঁজে বের করা হচ্ছে। এটা এক বিশাল ট্র্যাজেডি। জীবিত বন্দিদের অনেকেই অত্যন্ত কঠিন স্থানে রয়েছেন এবং খুব কম সংখ্যক মানুষ জানেন তারা কোথায় আছেন। তিনি আরও জানান, চলতি সপ্তাহে তিনি কায়রো সফরে যাচ্ছেন এবং পরবর্তীতে ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। ইসরায়েল সরকার শুক্রবার ভোরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে এবং একই দিন থেকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। এর পর থেকেই বন্দি মুক্তির সময়সীমা গণনা শুরু হয়েছে।
তবে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস হয়তো সব মৃত জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করতে সমস্যায় পড়ছে, যা সোমবারের নির্ধারিত বন্দি বিনিময়ে কিছু জটিলতা তৈরি করতে পারে।
ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর শুক্রবার ফিলিস্তিনিরা যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত ঘরে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখনও গাজার ভবিষ্যৎ ও সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্ন অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
তবুও আশাবাদ ব্যক্ত করে ট্রাম্প বলেন, হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই এখন লড়াইয়ে ক্লান্ত। বেশিরভাগ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, কিছু বিস্তারিত বিষয় পরবর্তী আলোচনায় মীমাংসা হবে।
তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরান ও রাশিয়ার সমর্থনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, এই শান্তি পরিকল্পনা শুধু গাজায় নয়, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বয়ে আনবে। এটি একটি সুন্দর বিষয়।