শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন শান্তি পরিকল্পনায় হামাসের ‘আংশিক’ সম্মতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প এটাকে মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির পথে ‘বড় অগ্রগতি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানায়, তারা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অবিলম্বে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে হামাসও একই ধরনের ঘোষণা দেয়।
হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে রাজি এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী সব জিম্মি মুক্তির আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। তবে তারা নিঃশর্তভাবে প্রস্তাবটি মেনে নেয়নি।
হামাস আরো জানায়, গাজার শাসনভার তারা একটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরব ও ইসলামি সমর্থনে গঠিত স্বতন্ত্র (টেকনোক্র্যাট) ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।
ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, হামাসের প্রকাশিত বিবৃতির ভিত্তিতে আমি বিশ্বাস করি, তারা টেকসই শান্তির জন্য প্রস্তুত। জিম্মিদের দ্রুত ও নিরাপদে বের করে আনতে হলে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে।
আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। এটি শুধু গাজা সম্পর্কিত নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্যে বহুদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপার। বলেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের প্রতিক্রিয়ার আলোকে ইসরায়েল ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যাব, যাতে যুদ্ধের অবসান ঘটে এবং তা ইসরায়েলের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মিলে যায়।
সোমবার থেকে ট্রাম্প তাঁর ২০ দফা পরিকল্পনার জবাবের অপেক্ষায় ছিলেন। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন।
এর আগে শুক্রবার ট্রাম্প সতর্ক করে হামাসকে গাজার জন্য মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এই সময়ের মধ্যে এই পরিকল্পনা হামাস গ্রহণ না করলে তাদেরকে ‘নরকের মুখোমুখি’ হতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।