বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন
বাগেরহাট প্রতিনিধি, একুশের কণ্ঠ:: বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা দুই দিনের হরতাল শুরু হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে হরতাল সফল করতে জেলার প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। দূরপাল্লার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটেও সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম.এ সালাম বলেন, বাগেরহাটবাসীর ন্যায্য অধিকার হরণ করেছে নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘদিন ধরে এ জেলায় চারটি সংসদীয় আসন ছিল। হঠাৎ করে আসন কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে। আমরা এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে আছি। আজ থেকে দুই দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করব। এরপরও দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ মাঠে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের দশানী ট্রাফিক মোড় থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমীর আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, বিএনপি নেতা সৈয়দ নাসির উদ্দিন মালেক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করেছে। এতে জেলাবাসী বঞ্চিত হবে।’’ তারা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসন পুনর্বহালের দাবি জানান। একইসঙ্গে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালনের ঘোষণা দেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে চার আসন বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সীমানা পরিবর্তন করে বাগেরহাটের তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসন ছিল। তখনকার সীমানা ছিল, বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।