মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত অনলাইন ডেস্ক:: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজার রায়ে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের মানবতাবিরোধী নৃশংস, জঘন্য হত্যাকাণ্ড এবং গণহত্যায় অপরাধীদের বিচারে বিশ্ব জনমতের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কারাদণ্ড ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনাক্রমে রায়ের বিষয়ে দলীয় পর্যবেক্ষণ লিখিত প্রস্তাবে গৃহীত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। এই দীর্ঘ রক্তাক্ত সংগ্রামে শত সহস্র বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সমাজের সর্বস্তরের অসংখ্য নাগরিক গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মামলা-হামলা, নির্যতন-নিপীড়ন ও অবর্নণীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। অবশেষে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা-শ্রমিক, নারী-শিশুসহ সহস্রাধিক নাগরিকের আত্মদান, অন্ধত্ব, চিরপঙ্গুত্ব বরণের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের জঘণ্যতম শেখ হাসিনার শাসনামলের পতন হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দুই দোসরের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হয়েছে। আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি এ ব্যাপারে জনগণকে সদা সর্বদা সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। একইসঙ্গে অন্যান্য মামলায় অভিযুক্তদের সুবিচারের দাবির বিষয়ে একাত্মতার কথা জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ২০২৪ ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে এবং তাদের পরিবার পরিজনদের ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।