সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদকে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনিই প্রথম মুসলিম নারী, যিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির কারণে অ্যাঞ্জেলা রেনার উপপ্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার পর মন্ত্রিসভায় এ রদবদলের ঘোষণাটি এলো। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিবাসন, পুলিশ ও জাতীয় নিরাপত্তা প্রশাসন তত্ত্বাবধান করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাতিকে রক্ষা করেছেন। আজ আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করছি। আমরা নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদকে স্বাগত জানাই।
নিজের এক্স পোস্টে শাবানা লিখেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য সম্মানের। সরকারের প্রথম দায়িত্ব হলো তার নাগরিকদের নিরাপত্তা। দায়িত্ব পালনকালে প্রতিদিন আমি সেই উদ্দেশ্যেই নিবেদিত থাকব।
শাবানা মাহমুদ ১৯৮০ সালে বার্মিংহামে কাশ্মীরি-পাকিস্তানি বাবা-মা জুবাইদা ও মাহমুদ আহমেদের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা মূলত আজাদ কাশ্মীরের মিরপুরের বাসিন্দা, কিন্তু কয়েক দশক আগে লুধারের কাছে ঝিলামের বোহরিয়া গ্রামে চলে আসেন। শাবানা তার শৈশবকাল সৌদি আরবে কাটান। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তিনি অক্সফোর্ডের লিংকন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে ব্যারিস্টার হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন।
শাবানা মাহমুদ ২০১০ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি বার্মিংহাম লেডিউড থেকে এমপি নির্বাচিত হন, যা তার রাজনৈতিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী মুসলিম এমপিদের একজন। তারপর তিনি ছায়া অর্থমন্ত্রী এবং কারাগারের ছায়া মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে তিনি পদত্যাগ করেন কিন্তু কেয়ার স্টারমারের অধীনে ফিরে আসেন। ২০২৩ সালে তিনি ছায়া বিচারমন্ত্রী ছিলেন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির জয়ের পর, বিচারমন্ত্রী এবং লর্ড চ্যান্সেলর হন। বিচারমন্ত্রী থাকাকালে তিনি কারাগারের ভিড় কমাতে আগাম মুক্তি কর্মসূচি’ চালু করেন এবং কঠোর নির্বাসন আইনের পক্ষে ছিলেন। কঠোর নির্বাসন ব্যবস্থা উন্মোচন করার সময় তিনি বলেছিলেন, আপনি যদি আমাদের আতিথেয়তার অপব্যবহার করেন এবং আমাদের আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে আমরা আপনাকে বিতাড়িত করব।
এদিকে রদবদলের অংশ হিসেবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে উপ-প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৫৩ বছর বয়সী ল্যামি তার নতুন দায়িত্বের পাশাপাশি দুটি পদকে একত্রিত করে বিচারমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করবেন।