বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
রাবি প্রতিনিধি::
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও দুর্নীতি, ঢাকাস্থ অতিথিভবন ক্রয়ে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতসহ সব দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
রোববার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এই দাবি জানানো হয়।
শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদুর রহমান বলেন, সাবেক প্রশাসন অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিনের সময়ে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণ, কফিশপ নির্মাণ, ঢাকাস্থ অতিথি ভবন নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনী। কিন্তু তারাই আজকে একটি সুশৃঙ্খল অ্যাকাডেমিক পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। এই দুর্নীতিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নজীর স্থাপন করার দাবি করেন তিনি।
শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আরিফুর রহমান বলেন, বরাবরই বাহু শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণ কিছু শিক্ষক নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। তারা গ্রামের হাটবারের মতো সপ্তাহে দুইদিন দাড়িয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে।
সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, নিজেদের দোষ ঢাকতেই কতিপয় শিক্ষক নানা ভাবে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলো প্রমাণিত হয়েছে। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ সব সময়ই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সজাগ আছেন এবং থাকবেও।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, গত প্রশাসনের আমলে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। আর আজকে যিনি দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে প্রধান তার নামেও ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ আছে সেটিও তদন্তাধীন।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত সরকার, সুমাইয়া খানম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক নূর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাবুল ইসলাম, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য সচিব অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে ক্রপ সায়েন্স বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অবৈধ দাবি করে ভিসি বাসভবনের সামনে প্লাকার্ড হাতে অবস্থান নেন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের কয়েকজন শিক্ষক। এ সময় অবৈধ নিয়োগ বন্ধের দাবি জানান তারা।